কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় ৩০ জন নারী মিলে ঘরে বসে তৈরি করছেন ‘ইচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন’ নামের এক ধরনের স্যানিটারি ন্যাপকিন।
‘ঐহিত্যের পর্যটন, উদ্ভাবনে উন্নয়ন’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ‘ইচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন’ বিষয়ক অভিহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানায় উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, বেকারত্ব নিরসন ও উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডলের সার্বিক সহযোগিতায় ২০২২ সালে প্রথমে ১৫ জন বয়স্ক নারী জাইকা সংস্থা থেকে ৬ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর তারা ব্যক্তিগত মাসিক চাঁদা ও পল্লী উন্নয়ন সঞ্চয় ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে কিছু টাকা ঋণ নিয়ে ইচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির কাজ শুরু করেন।
বর্তমানে ৩০ জন নারী প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার পিস ন্যাপকিন তৈরি করছেন। প্রতি প্যাকেট (১০ পিস) ৫০ টাকায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছেন তারা।
এ বিষয়ে ইচ্ছে মহিলা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আঁখি নাজনীন রিপা বলেন, তাদের ন্যাপকিনটি অন্য ন্যাপকিনের তুলনায় অধিক শোষণ ক্ষমতার ও পচনশীল এবং দামে সস্তা।
তিনি জানান, সহজ শর্তে ঋণ ও সকলের সহযোগিতা পেলে তাদের ন্যাপকিনটি একদিন দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করবে এবং অসংখ্য কর্মসংস্থান তৈরি করবে।
ইউএনও বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারের জন্য উদ্যোক্তা মেলা, ম্যাপ ও অ্যাপসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিতান কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান লালু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আকুল উদ্দিন, কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মমতাজ বেগম, মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী, ইচ্ছে মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মেরিনা আক্তার মিনা প্রমুখ।