অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রকেট উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইট সাগরে গিয়ে পড়েছে


দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেয়া এই ছবিটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর দ্বারা উদ্ধার করা একটি বস্তু দেখানো হয়েছে যা উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইটের অংশ বলে ধারণা করা হয়। ৩১ মে, ২০২৩।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেয়া এই ছবিটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর দ্বারা উদ্ধার করা একটি বস্তু দেখানো হয়েছে যা উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইটের অংশ বলে ধারণা করা হয়। ৩১ মে, ২০২৩।

বুধবার উত্তর কোরিয়ার একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং বুস্টার এবং পেলোড সমুদ্রে ডুবে যায়। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম একথা জানায়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এর কিছু অংশ উদ্ধার করেছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, ইঞ্জিন ও জ্বালানি ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে নতুন “চোল্লিমা-১” স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন চিফস অফ স্টাফ বলেছেন, মহাকাশ উৎক্ষেপণ যানের অংশ উদ্ধার করতে সেনাবাহিনী উদ্ধার পরিচালনা করছে।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা ফোনে উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণের “কঠোর নিন্দা” করেছে।

উত্তর কোরিয়া বলেছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যকলাপের ওপর নজরদারি বাড়াতে ৩১মে থেকে ১১ জুনের মধ্যে তাদের প্রথম সামরিক নজরদারি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে।

গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমবারের মতো নিজেদের নকশা করা এবং নির্মিত একটি রকেটের মাধ্যমে কক্ষপথে উপগ্রহ স্থাপন করেছে এবং মঙ্গলবার ক্রু রোটেশনের অংশ হিসেবে চীন মহাকাশ স্টেশনে তিনজন নভোচারী পাঠিয়েছে।

কেসিএনএ প্রতিবেদন করেছে, রকেটটি “দ্বিতীয় পর্যায়ের ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক স্টার্টের কারণে থ্রাস্ট হারানোর পরে” সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়। এটি উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার ব্যতিক্রমী অকপট স্বীকারোক্তি।

কেসিএনএ বলেছে, পিয়ংইয়ং-এর ন্যাশনাল এরোস্পেস ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএডিএ) “গুরুতর ত্রুটিগুলো”র তদন্ত করবে এবং যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ পরিচালনা করার আগে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে ব্যবস্থা নেবে।

XS
SM
MD
LG