মিয়ানমারের এক জনপ্রিয় র্যাপার বিউহারের গ্রেফতার তার প্রিয়জন এবং সহশিল্পীদের মধ্যে ব্যাপক শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
৩৮ বছর বয়সী এই র্যাপার, (তার আইনি নাম মিন ওক মিয়ানমার) মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিয়ানমার জান্তার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন এবং তাদেরকে “অযোগ্য বোকা” বলে অভিহিত করেছিলেন। ইয়াঙ্গুনের শহরতলী উত্তর দাগনে তার বাসভবন থেকে তাকে ২৪ মে গ্রেফতার করা হয়।
বিউহারের গ্রেফতারের পর তার পরিবার এবং বন্ধুরা পাঁচ দিন ধরে তার কাছে পৌঁছাতে পারেনি। তার স্ত্রীর মতে, তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা জানতে তিনি থানায় গিয়েছিলেন কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি।
সোমবার ফোনে ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বিউহারের স্ত্রী বলেছেন, তার স্বামী একজন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন না। কারণ ক্ষমতাসীন জান্তা তাদের বসবাসের এলাকায় “জরুরি অবস্থা” জারি করেছে। জান্তার জরুরী অবস্থার নিয়ম অনুসারে, বেসামরিক আদালতের বিচারের প্রয়োজন ছাড়াই ওইসব এলাকার বিচার অবশ্যই সামরিক আদালতে পরিচালিত হতে হবে।
পুলিশ অবশেষে পাঁচ দিন পর সোমবার বিউহারের পরিবারকে তার সাথে দেখা করতে দেয়। তার স্ত্রী ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “আমি আমাদের দুই সন্তানকে নিয়ে উত্তর দাগন থানায় তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে তাকে আটক করা হয়েছিল।” “আমাকে বলা হয়েছিল তাকে ৯ জুন পর্যন্ত সেখানে রাখা হবে।” এর পরে তার কী হবে তা তিনি জানেন না, তবে তিনি সবচেয়ে খারাপ অবস্থার জন্য ভয় পান। “জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে মারা গেছে- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন মিথ্যা প্রতিবেদনের পরে আমরা তাকে নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলাম। আমরা তার নিরাপত্তার জন্য খুব উদ্বিগ্ন।”
ঐ র্যাপারের আটক মিয়ানমারের শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলা শিল্পীদের গ্রেফতারের মধ্যে সর্বসাম্প্রতিক। এমনই একজন শিল্পী ফিও জায়া থাওকে গত বছর সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। প্রভাবশালী শিল্পীদের গ্রেফতারকে জান্তা তার সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে চায়- এমন একটি প্রচেষ্টা হিসেবে ব্যাপকভাবে দেখা হয়।