যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট বৃহস্পতিবার রাতে ৬৩-৩৬ ভোটে একটি প্রস্তাব পাস করে। এই প্রস্তাব পাস হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার বিল পরিশোধ করা অব্যাহত রাখতে পারবে।চার দিনের মধ্যে নগদ অর্থ শেষ হয়ে যাওয়ার পথে ছিলো যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিদলীয় আইনটি এখন স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যাবে।
রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতারাও বুধবার রাতে প্রতিনিধি পরিষদে (হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ) ব্যাপকভাবে এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর্থিক বাধ্যবাধকতা মেটানোর জন্য সরকারকে আগামী দেড় বছর অর্থ ধার করার অনুমতি দিতে এই আইন পাস করা হয়েছে। সরকারের বর্তমান ঋণসীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ঊর্ধ্বে এই অনুমোদন দেয়া হলো।
আইনটি নতুন আর্থিক সীমা নির্ধারণ করেনি। তবে ঋণ নেয়ার ক্ষমতা ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রসারিত হবে।আর এই সময়ের পরিসরটি হলো আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই মাস পর পর্যন্ত বিস্তিৃত।
আইনে, আগামী অক্টোবরে শুরু হতে যাচ্ছে যে অর্থবছর তখনও বেশিরভাগ ফেডারেল ব্যয় বর্তমান স্তরে বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। আর, পরবর্তী ১২ মাসে, ব্যয় ১ শতাংশ বৃদ্ধি করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
হাউজে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান দলের ৭১ জন আইনপ্রণেতা এবং ৪৬ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
বুধবারের ভোটের পরে এক বিবৃতিতে বাইডেন চুক্তিটিকে “দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা” হিসেবে সানন্দে উল্লেখ করেছেন।
এই আইনে কর বৃদ্ধি পাচ্ছে না বা মোট জাতীয় ঋণের চলমান বৃদ্ধিও বন্ধ করছে না। তবে, সম্ভবত আগামী দেড় বছর পর, সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে, আরো ৩ ট্রিলিয়ন ডলার জাতীয় ঋণের সঙ্গে যুক্ত করবে।