অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী হত্যার কথা অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ, লেবাননের বিচারকের অভিযোগের সমালোচনা


দক্ষিণ লেবাননের আল-আকবিয়া গ্রামে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের একটি বহরে গুলিবর্ষণের পর লেবাননের সেনারা একটি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে আছে; (ফাইল ফটো) ১৫ ডিসেম্বর ২০২২)
দক্ষিণ লেবাননের আল-আকবিয়া গ্রামে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের একটি বহরে গুলিবর্ষণের পর লেবাননের সেনারা একটি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে আছে; (ফাইল ফটো) ১৫ ডিসেম্বর ২০২২)

লেবাননের হিজবুল্লাহ, গত বছর জাতিসংঘের এক শান্তিরক্ষীকে হত্যার পেছনে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ করায়, লেবাননের এক বিচারকের তীব্র সমালোচনা করেছে। বলেছে, “এই ঘটনার সঙ্গে হিজবুল্লাহর কোনো সম্পর্ক নেই”।

লেবাননের সামরিক ট্রাইব্যুনাল, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে এক আইরিশ শান্তিরক্ষীকে হত্যার দায়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। এর একদিন পর, হিজবুল্লাহর প্রধান মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ এ মন্তব্য করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পাঁচজনই হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত।

গত ডিসেম্বরে আল-আকবিয়া শহরের কাছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বহরে হামলার ঘটনার তদন্ত চলে অর্ধবছর ধরে। এর পর এই অভিযোগ আনা হয়। গোলাগুলিতে, আয়ারল্যান্ডের নিউটাউন কানিংহামের ২৪ বছর বয়সী সেনা সদস্য শন রুনি মারা যান এবং ২২ বছর বয়সী সেনা সদস্য শেইন কির্নি গুরুতর আহত হন। আহত শান্তিরক্ষীকে চিকিৎসার জন্য আয়ারল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় আরো দুই আইরিশ সৈন্য সামান্য আহত হন।

আফিফ বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সামরিক ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী বিচারক ফাদি সাওয়ান ইচ্ছাকৃতভাবে হিজবুল্লাহর প্রতি দোষারোপ করেছেন।“

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এর পক্ষ থেকে সাওয়ান-কে বারবার ফোন করা হলেও, সাড়া পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার এক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগপত্রে প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য প্রমাণের পাশাপাশি নজরদারি ক্যামেরায় ধারণ করা অডিও রেকর্ডিং ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। সংঘর্ষের কিছু রেকর্ডিং-এ শোনা যায় যে বন্দুকধারীরা শান্তিরক্ষীদের বলছে যে তারা হিজবুল্লাহর সদস্য।

অভিযুক্ত পাঁচজনের একজন মোহাম্মদ আয়াদ এখন লেবানন কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রয়েছেন। অন্য যে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন, আলি খালিফেহ, আলি সালমান, হুসেইন সালমান ও মুস্তাফা সালমান। তারা পলাতক রয়েছেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ হিজবুল্লাহর সদস্য কিনা, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান আফিফ। তিনি বলেন, “ঘটনার সময় যে সব বাসিন্দা সেখানে ছিলেন, তাদের মধ্যে আয়াদ অন্যতম।“

এই মুখপাত্র আরো বলেন, হিজবুল্লাহ এই ঘটনার পর দক্ষিণ লেবাননে সেনাবাহিনী এবং ইউএনআইএফআইএল নামে পরিচিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর মধ্যে “যোগাযোগ উত্তেজনা কমাতে”সহায়তা করেছে। তিনি আরো বলেন, হিজবুল্লাহ পরে আয়াদকে হস্তান্তরের জন্য স্থানীয় বাসিন্দা এবং সামরিক বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করেছে।

ইউএনআইএফআইএল-এর মুখপাত্র আন্দ্রেয়া তেনেন্তি বৃহস্পতিবার বলেছেন, এই অভিযোগ “ন্যায়বিচারের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।“

XS
SM
MD
LG