দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে খুলনা সিটি নির্বাচন ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তাদের ২৭ জন নেতৃস্থানীয় সদস্যকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের বিষটি সংশ্লিষ্ট নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির আট নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) রাতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট নেতাদের নামে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন; খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশফাকুর রহমান কাকন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহবুব কায়সার, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড-এর সাবেক সভাপতি মো. শমসের আলী মিন্টু, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে-এর কর্মী ও সাবেক কাউন্সিলর মুহা. আমান উল্লাহ আমান, মাজেদা খাতুন, কাজী ফজলুল কবির টিটো এবং মুশফিকুস সালেহীন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “বিএনপি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ আপনি দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। ১ জুন আপনাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও, নোটিশের জবাব দেননি, যা গুরুতর অসদাচরণ।”
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, “প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে, গণতন্ত্রকামী বিপুল জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি আপনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এমন অবস্থায়, অবজ্ঞা ও ঔদ্ধত্যের জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী, দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ থেকে আপনাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।”
আজীবন বহিষ্কৃত কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন; বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির তিন যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, হারুন অর রশিদ ও শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন। আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম হাওলাদার, জাহানারা বেগম, সেলিনা বেগম এবং রাশিদা পারভীন।
এছাড়া, জিয়াউল হক মাসুম, দক্ষিন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আব্দুল্লাহ সাদি, বরিশাল জেলা তাতি দলের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহীন, মনিরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ফারুক, সৈয়দ হুমায়ন কবির লিংকু, সিদ্দিকুর রহমান, জেসমিন সামাদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ফরিদউদ্দিন হাওলাদার এবং হুমায়ন কবিরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কামরুল আহসান রুপনকে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বরিশাল সিটির ভোটে অংশ নেয়ার পর, শো-কজ নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় রুপনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে আরো ১৮ বিএনপি নেতা কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায়, তাদেরও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।