অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভিসা নীতিতে ভয় নেই, যুক্তরাষ্ট্র আইনের শাসনকে সম্মান করে: ওবায়দুল কাদের


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। (ফাইল ছবি)
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (৬ জুন) বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ও সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে ভীত নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্র সবসময় সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সম্মান করে।”

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক লিখিত বক্তব্যে এ কথা জানিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই ভিসা নীতি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “কারণ, তারা সব সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে এবং নির্বাচন ঠেকানোর নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে এবং সাংবিধানিক রাজনীতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি); বলেছে, “এই ভিসা নীতি, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ভোট কারচুপির সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া পদক্ষেপ নিয়ে তাদের দলের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। গত ২৫ মে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, কারণ এটি (আগামী সাধারণ) নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করে করা হয়েছে। আমি মনে করি এই পদক্ষেপ অন্তত আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য ভাবে আয়োজনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে”।

উল্লেখ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারের লক্ষ্যে চলতি বছরের ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের ঘোষণা: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের লক্ষ্যে ভিসা নীতির ঘোষণা দিতে গিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “ আজ, আমি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ২১২ (এ) (৩) (সি) (‘৩সি’) ধারার অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদান সীমিত করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মে মাসের ৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে”।

তিনি আরও বলেছেন, “গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কর্মের মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার ব্যবহার, জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখা এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ, বা মিডিয়াকে তাদের মতামত প্রচার থেকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে যেকোনো রকম ব্যবস্থার ব্যবহার”।

ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সকলের- ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে যারা চায় তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি”।

XS
SM
MD
LG