অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারের নকশা তৈরির দায়িত্ব প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর


ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য রোড শো চলাকালীন কংগ্রেস পার্টির নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছেন। (এপি ছবি/রাজেশ কুমার সিং)
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য রোড শো চলাকালীন কংগ্রেস পার্টির নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছেন। (এপি ছবি/রাজেশ কুমার সিং)

পাঁচ মাসের ব্যবধানে ভারতের দু'টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে সেই রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি-কে হারিয়ে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। প্রথমে হিমাচল প্রদেশ। তারপর কর্নাটক। এই দুই রাজ্যেই কংগ্রেসের প্রচারের নিউক্লিয়াস ছিলেন দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া। এবার সেই তাঁকে অন্যান্য যে রাজ্যগুলিতে বিধানসভা ভোট আসন্ন সেগুলিতে প্রচারের নীল নকশা আঁকার দায়িত্ব দিতে চলেছে কংগ্রেস।

কংগ্রেস সূত্রে খবর, আপাতত তেলেঙ্গানা ও মধ্যপ্রদেশকে ‘ফোকাস’ করেই প্রচারে ঝাঁপাবেন প্রিয়ঙ্কা। ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানায় কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। ১২ জুন মধ্যপ্রদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের দামামা বাজিয়ে প্রচার শুরু করবেন তিনি। পাশাপাশি ছত্তীসগড়েও সময় দেবেন প্রিয়ঙ্কা।

কর্নাটকের ভোটে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপিকে কার্যত নাস্তানাবুদ করে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে তারা। হিমাচলের জয়ও তাৎপর্যপূর্ণ। এই দুই রাজ্যেই প্রচার সামলেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই প্রচারের মূল বিষয় ছিল, মহিলাদের ক্ষমতায়ন। আরও বেশি করে মহিলাদের প্রার্থী করা, মহিলাদের অনুদান দিয়ে জীবনযাপনে নিরাপত্তা তৈরি করার মতো বিষয়গুলিকেই নির্দিষ্ট করেছিলেন কংগ্রেসনেত্রী। কর্নাটকে যখন তীব্র ধর্মীয় মেরুকরণ চলছে যে প্রান্তেই প্রচারে গিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা নিয়ম করে একটা কথা বলেছেন, "যিনি রামভক্ত তাঁকে গ্যাসের সিলিন্ডার যে দামে কিনতে হয়, যিনি কোরান পড়েন, তাঁকেও একই দামে কিনতে হয়। সিলিন্ডারের দামটা কোথা থেকে কোথায় পৌঁছেছে সেটা যাতে আপনারা ভুলে যান সেই কারণেই হনুমান চলিসা, বজরংবলি, হিজাবের কথা পেড়ে আনা হচ্ছে।"

কর্নাটকের গোটা ভোটে কংগ্রেসের প্রচারের ‘লাইন অফ অ্যাকশন’ যদি মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে একটি বিষয় দেখা গিয়েছে। তা হল, বিজেপি যত ধর্মীয় মেরুকরণের বন্ধনীতে ঢুকেছে, প্রিয়ঙ্কা তথা কংগ্রেস তত সেই প্রচারকে রুটি-রুজির টান আর মূল্যবৃদ্ধির মতো জীবনের সমস্যার দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। শেষে দেখা গিয়েছে, মেরুকরণ পরাস্ত হয়েছে কন্নড়ভূমে।

আপাতত যে দু’টি রাজ্যে প্রিয়ঙ্কাকে মূল দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেই দু’টি রাজ্যেই কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল। তেলেঙ্গানায় কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলের বিরুদ্ধে মূল লড়াই কংগ্রেসেরই। আবার মধ্যপ্রদেশে আগেরবার কংগ্রেস সরকার গড়লেও পরে অপারেশন লোটাস করে তা ফেলে দেওয়া হয়। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রে মন্ত্রী করে বিজেপি। আর কমলনাথের সরকার পড়ে যায়।

প্রিয়ঙ্কা ঘনিষ্ঠ এক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, "রাহুল গান্ধী মোদী জমানায় বিপন্ন ভারতে বিকল্প ধারণা নির্মাণের কাজ করছেন। আর মাঠে ময়দানের প্রচারে সেটাকেই মেঠো ভাষায় নিয়ে যাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা। দাদা-বোনের অসামান্য যুগবলবন্দি।"

XS
SM
MD
LG