অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নির্বাচনকেন্দ্র কেরালার ওয়ানাডে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের


রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধী

ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরলের ওয়ানাড লোকসভা আসনের উপনির্বাচনের দিন এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে। মঙ্গলবার ৬ জুন সেখানে সমস্ত ইভিএম পরীক্ষা করা হয়েছে। বুধবার ৭ জুন সব রাজনৈতিক দলকে ডাকা হয়েছিল মক পোলের জন্য। এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সমান সংখ্যায় ভোট দেন। যাতে ভোটের ফল গণনা করে নিশ্চিত হওয়া যায় ইভিএম ঠিকঠাক জায়গায় আছে কিনা।

কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত এবং ক্ষুব্ধ কংগ্রেস বুধবার ৭ জুন বহু বুথে মক পোলে অংশ নেয়নি। আপত্তি তুলেছে সিপিএম-ও। কারণ, ওয়ানাডে ভোটের জন্য ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় আছে।

এদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এখনও সাজামুক্ত হননি। তিনি জামিনে মুক্ত। তাঁর সাজামুক্তির আবেদন আদালতের বিচারাধীন। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সাজা মুক্তির আগে ওয়ানাডে উপনির্বাচন হয়ে গেলে তিনি সেখানে প্রার্থী হতে পারবেন না।

ওয়ানাড লোকসভাটি ওয়ানাড, কোঝিকোড় ও মাল্লাপুরম জেলার মধ্যে অবস্থিত। তবে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে আছেন ওয়ানাডের জেলা শাসক। তিনি মক পোলের বিষয়ে শুধু বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও গত ২৯ মার্চ কর্নাটক বিধানসভার ভোট ঘোষণার দিনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ওয়ানাডের উপনির্বাচন নিয়ে বলেছিলেন, "এত তাড়াহুড়োর কী আছে! ওখানে উপনির্বাচনের জন্য অনেক সময় আছে।" রাহুল গান্ধী তখন গুজরাতের সুরাতের নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেলা আদালতে লড়াই চালাচ্ছিলেন। তারপর গুজরাত হাইকোর্টও তাঁর আর্জি ফিরিয়ে দিলে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা বিচারাধীন।

কংগ্রেস মনে করছে, সেপ্টেম্বরের আগেই তিনি আদালত থেকে দোষমুক্ত হবেন। মোদী পদবিধারীদের অবমাননার মামলায় সুরাত আদালত রাহুলকে দু বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছে। তার ফলে কংগ্রেস নেতার সাংসদ পদ চলে গিয়েছে। উপনির্বাচনের আগে রাহুল নির্দোষ ঘোষিত না হলে তিনি ভোটে অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে, আইনের এই বিধান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের মামলায়। ঘৃণা ভাষণের মামলায় উত্তরপ্রদেশের এমএলএ-এমপি কোর্ট আজমকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। ফলে আজমের বিধায়ক পদ চলে যায়। তাঁর শূন্য আসনে উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী জিতে যান। এটা এ বছর জানুয়ারির কথা। গত মাসে উত্তরপ্রদেশের জেলা উচ্চ আদালত আজমকে নির্দোষ ঘোষণা করে বলেছে নিম্ন আদালত ভুল রায় দিয়েছিল। অভিযোগেরই কোনও সারবত্তা ছিল না।

এখন প্রশ্ন উঠেছে আজম খানের বিধায়ক পদ ফিরে পাওয়া নিয়ে। কারণ, তাঁর শূন্য আসনে বিজেপির প্রার্থী ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। তাঁকেও বিধায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া অসম্ভব। ফলে বিচিত্র এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রেও হওয়া অসম্ভব নয়।

আবার লাক্ষ্মাদ্বীপের এক সাংসদের ক্ষেত্রে উল্টো ঘটনা ঘটেছে। গত নভেম্বরে এনসিপির ওই সাংসদ খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সাংসদ পদ চলে যায়। কিন্তু দ্রুত আইনি পদক্ষেপ করে তিনি উচ্চ আদালত থেকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেন। তার আগে নির্বাচন কমিশন লাক্ষ্মাদ্বীপে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিয়েছিল। এনসিপি নেতাকে আদালত নির্দোষ ঘোষণা করা মাত্র সেখানে উপনির্বাচন স্থগিত করে দেয় কমিশন। তিনি আবার সংসদে ফিরেছেন।

XS
SM
MD
LG