অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা—তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ


বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, বর্তমান সরকারই আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবন মিলনায়তনে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে ঢাবি সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে সাংবাদিকেরা ‘বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) পক্ষ থেকে এখন নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তোলা হয়েছে’ এমন প্রসঙ্গ তুললে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তো আন্তর্জাতিকভাবে কারও সমর্থন পায়নি। তাই এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলছে”।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, “বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন যেকোনো সময় ১৮ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা সরকারের আছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। এখন দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। … বিদ্যুতের বহুমাত্রিক ব্যবহারে গত ১৪ বছরে মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে গেছে। মানুষকে এতো বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়ে নিশ্চয়ই ভুল করা হয়নি, সবার খানিক ধৈর্যের প্রয়োজন। এখন বিশ্বমন্দা ও যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই অসুবিধাটা সাময়িক, ১৫-২০ দিনের মধ্যে দূর হবে”।

নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে—মির্জা ফখরুল

এদিকে গত শনিবার (৩ জুন) এক আলোচনা সভায় আন্দোলনরত বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীযতাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পথ সুগম করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে এবং সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং জাতিকে বাঁচানোর এটাই একমাত্র উপায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় এখন একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের পক্ষে কাজ করায় তাদের আন্দোলন ইতিমধ্যে সাফল্য অর্জন করেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যে আন্দোলন শুরু করেছে তা দ্রুত গতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সকল রাজনৈতিক দল, সকল সংগঠন, সকল গণতান্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার রক্ষার চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হই।

XS
SM
MD
LG