অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

টাকা আদায়ের অভিযোগ,শরীয়তপুরের সিজেএম ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব


উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া কয়েক ব্যক্তিকে ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির এবং পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শরীয়তপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম)-কেও তলব করা হয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই তাদের সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

হাজির হয়ে, উচ্চ আদালতের আগাম জামিনের পর, কেন গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে ৭২লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে এবং তাদের কেন জামিন দেয়া হয়নি তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন উচ্চ আদালত। এক ফৌজদারি বিবিধ আবেনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।

এর আগে, গত ১১ জুন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান। তখন আদালত বলেন, “লিখিত আবেদন দাখিল করুন। আমরা ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।” পরে অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান লিখিত আবেদন করেন।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া কয়েক ব্যক্তি ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির এবং পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়। ভুক্তভোগীর বড় ভাই আবু জাফর ঠান্ডু জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদিউজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

পুলিশ, ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মে দ্রুত বিচার আইনে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়। মামলায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকার আহম্মেদ চোকদার, কান্দি এলাকার সাদ্দাম চোকদার, বকুল চোকদারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। সেই মামলায় ২৯ মে সাদ্দাম, বকুল, সাইদুল উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হন।

জামিন পাওয়ার পর, ৩০ মে রাতে তারা এ মামলার আরেক অভিযুক্ত আনোয়ারকে নিয়ে ঢাকা কেরানীগঞ্জ সাদ্দামের বন্ধু আলমগীর চোকদারের বাসায় যান। রাতে তথ্য পেয়ে সেই বাসায় হাজির হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির ও ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারীসহ ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য।

অভিযোগে বলা হয়, সাদ্দাম তাদের জামিনের কাগজ দেখালে, তা ছিঁড়ে ফেলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। পরে পুলিশ সাদ্দাম ও বকুলকে নির্যাতন করেন। পরে আত্মীয়-স্বজনরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসির কাছে পাঁচটি চেকের মাধ্যমে ৭২ লাখ টাকা দিলে, নির্যাতন থেকে মুক্তি মেলে সাদ্দাম ও বকুলের।

XS
SM
MD
LG