লাতিন আমেরিকায় প্রথম সফরে ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং উভয় নেতা অভিন্ন একটি বিষয়ের সমালোচনা করেন এবং তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা।
ভেনিজুয়েলার পর নিকারাগুয়া প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির দ্বিতীয় গন্তব্যস্থান। ইরানের অপর মিত্র কিউবা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
রাইসি মানাগুয়ায় নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার সাথে একটি যৌথ উপস্থিতিতে কথা বলেছেন।
রাইসি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জনগণকে হুমকি এবং নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পঙ্গু করে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা তা করতে পারেনি।”
ওর্তেগার সরকারের অনেক শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিও ভিন্নমতকে দমন এবং বিরোধীদেরকে কারারুদ্ধ বা নির্বাসিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছেন।
সোমবার রাইসি ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সাথে সাক্ষাৎ করেন। ভেনিজুয়েলাও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ল্যাটিন আমেরিকার মিত্র দেশগুলোতে তার এই সফর সম্পন্ন হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, ইরান রাশিয়াকে মস্কোর পূর্বে একটি ড্রোন উৎপাদন কারখানা তৈরির জন্য উপকরণ সরবরাহ করেছে কারণ ক্রেমলিন ইউক্রেনে তার আক্রমণের জন্য অস্ত্রের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মনে করেন, রাশিয়ার প্ল্যান্টটি আগামী বছরের শুরুতে কাজ শুরু করতে পারে, তবে ইরান বলেছে, তারা যুদ্ধ শুরুর আগে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করেছিল।