জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) তাদের হালনাগাদ গ্লোবাল ট্রেন্ডস ইন ফোর্সড ডিসপ্লেসমেন্ট প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যুদ্ধ, নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নিজ বাসস্থান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হওয়া মানুষের সংখ্যা ২০২২ সালের শেষে ১১ কোটি ৮৪ লাখ হয়েছে। বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, এই সংখ্যাটি সর্বকালের সর্বোচ্চ এবং একটি নতুন রেকর্ড।
এর আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ১ কোটি ৯১ লাখ বেড়েছে। এক দশক আগে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার, যা থেকে বর্তমান সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্দি বলেন, “প্রতি বছর এই সংখ্যা বাড়ছে।”তিনি উল্লেখ করেন, নতুন তথ্যে দেখা গেছে গত বছরের রেকর্ড সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরো বেড়ে ইতোমধ্যে নতুন রেকর্ড গড়েছে।
গ্রান্দি আরও বলেন, “বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে প্রায়ই নির্মম সহিংসতা দায়ী, সুদান ও ইউক্রেনের উদাহরণ দেওয়া যায়, যেখানে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করা হচ্ছে।”
গ্রান্তি বলেন, এ সব কিছুর পরও “(মানুষকে) আরও বৈরি পরিবেশের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, বিশেষত শরণার্থীদের”। তিনি আরও বলেন,“আমরা পুশব্যাক দেখতে পাই। আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর অভিবাসন-প্রত্যাশী বা শরণার্থী আইন দেখতে পাই । আমরা অনেক দেশকে অভিবাসী ও শরণার্থীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করার প্রবণতা দেখতে পাই। তাদেরকে সব কিছুর জন্য দায়ী করা হয়”, আরও জানান গ্রান্দি।
প্রতিবেদন মতে, যাদের বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য করা হয়েছে তাদের মধ্যে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা পেরোনো শরণার্থীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫৩ লাখ। অপরদিকে ৫৮ শতাংশ বা ৬ কোটি ২৫ লাখ মানুষ সংঘাত ও সহিংসতার কারণে তাদের নিজেদের দেশেই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।