অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাহাঙ্গীরকে গাজীপুর সিটি মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিলো না: হাইকোর্ট


বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ফাইল ছবি)
বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের প্রক্রিয়া আইনানুগ ছিলো না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে, রবিবার (১৮ জুন) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে, জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।

গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় জাহাঙ্গীর আলমকে। পদ ফিরে পেতে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়ে আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

একই বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর গত ১৫ মার্চ এ রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। রবিবার (১৮ জুন) হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তার দল আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।

জাহাঙ্গীর আলমের রিট বিচারাধীন অবস্থায়, গত বছর ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমের ক্ষমা ঘোষণা করে দলটি। গত ২১ জানুয়ারি সে ক্ষমা ঘোষণার চিঠি পান জাহাঙ্গীর আলম।

এরপর, গত ৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) গাজীপুর সিটির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন। ঋণ খেলাপীর অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে তার মায়ের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় এবং নির্বাচনেতার মা মেয়র পদে বিজয়ী হন।

XS
SM
MD
LG