যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মঙ্গলবার লন্ডন পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাব থেকে ইউক্রেনকে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করা একটি সম্মেলনের আগে ব্রিটিশ এবং ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার কথা।
ব্রিটেন এবং ইউক্রেনের যৌথ আয়োজনে এই সম্মেলন বুধ এবং বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মঙ্গলবারের বিশ্ব শরণার্থী দিবসের অংশ হিসেবে ব্লিংকেন এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা ইউক্রেনীয়দের ব্রিটেনে জীবনযাত্রার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পরামর্শ সহায়তা করার জন্য লন্ডনে একটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
ক্লেভারলির সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর ব্লিংকেন মঙ্গলবার দিনের শেষের দিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দমিত্রো কুলেবার সাথে আলোচনা করার কথা।
ইউক্রেন পুনরুদ্ধার সম্মেলনের আগে সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আক্রমণ করার পর থেকে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠানোতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দাতা হলো ব্রিটেন। প্রথম হলো যুক্তরাষ্ট্র।
জেলেন্সকি বলেন, তিনি আশা করেন যে, সম্মেলনটি পুনরুদ্ধারের বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে একীভূত করবে এবং এই পুনরুদ্ধার “বিশ্বের কাছে প্রদর্শন করবে যে, স্বাধীনতা অজেয়।”
সোমবার রাতের ভাষণে জেলেন্সকি ইউক্রেনের পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থ প্রদানে সহায়তা করার জন্য নিষেধাজ্ঞার অধীনে জব্দ রুশ তহবিলগুলোকে পুনঃনির্দেশিত করে, এমন নতুন আইনের জন্য ব্রিটেনের প্রশংসা করেন।