প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সপ্তাহের শুরুতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে স্বৈরশাসকের সঙ্গে তুলনা করে যে মন্তব্য করেছিলেন; বৃহস্পতিবার সেই মন্তবের ওপরই জোর দিলেন তিনি।
হোয়াইট হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাকে সেই মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, চীন সম্পর্কে তার কঠোর মন্তব্য প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন “এটা এমন নয় যে, আমি মন্তব্য বদলে ফেলবো।”
তিনি চীনের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আরো একবার পরোক্ষভাবে সমালোচনা করেন। বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক, আর যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক এক নয়। এর মূল কারণ হলো ”আমাদের একে অপরের প্রতি প্রবল শ্রদ্ধা রয়েছে কারণ আমরা উভয়ই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।”
ইতোমধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের ওপর তার কথার প্রভাব হ্রাসের চেষ্টা করেন তিনি এবং বলেন শিগগিরই শির সাথে সাক্ষাৎ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা বুধবার ভিওএ-কে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন,”প্রেসিডেন্ট চীন সম্পর্কে অকপটেই কথা বলেছেন; আমাদের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা নিয়েই কথা বলেছেন তিনি। এ নিয়ে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। আর, আমরাই কেবল এমন মত পোষন করি না।”
ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য এক তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার বাইডেন বলেন, ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে যে সন্দেহজনক চীনা গুপ্তচর বেলুন উড়ছিলো; যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একে গুলি করে নামানোর বিষয়ে শি বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।
বাইডেন বলেন,”কী ঘটেছিলো তা জানতে না পারাটা, কোনো স্বৈরশাসকের কাছে একটা ভীষণ বিব্রতকর ঘটনা। যখন বেলুনটি গুলি করে নামানো হয়, তখন তিনি খুব বিব্রত হয়েছিলেন। এমনকি, এটা এখানে এসেছিল সে কথাও অস্বীকার করেছিলেন।”
ক্লার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মাইকেল বাটলার বলেন, মোদির যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিক সফরকে সম্মান জানানোর ঠিক আগেই “শি-কে হালকাভাবে স্বৈরশাসক হিসেবে অভিহিত করা” বাইডেনের মন্তব্য ছিলো সময়োচিত।