আকাশ ভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশ। একটানা মুষলধারে বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ধসে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জলের তোড়ে ভেসে গেছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, দোকানপাট। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় বাগিপুলে প্রায় ২০০ জন পর্যটক এবং সাধারণ মানুষ আটকে রয়েছেন বলে খবর। বৃষ্টিতে অন্তত ৩০০টি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর মিলেছে।
মান্ডি ও সুন্দরনগরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। পর্যটকরাই বলছেন, একাধিক জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়েছে। হড়পা বানের কারণে জলের তোড়ে ভেসে গেছে পাহাড়ি রাস্তা। পর্যটকদের আটকে দেওয়া হয়েছে মাঝপথেই। ২৫ জুন,রবিবার, রাত ১০টা থেকে মান্ডি থেকে কুলু যাওয়ার জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ। পর্যটকরা বলছেন, প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে যানজট তৈরি হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল পর্যটকদের ফিরে যেতে বলেছে। কিন্তু ফেরার উপায় নেই। জাতীয় সড়কে শয়ে শয়ে গাড়ি, বাস গতকাল রাত থেকেই দাঁড়িয়ে। কাছাকাছি এলাকায় যত হোটেল ছিল সব বুক হয়ে গেছে। থাকার জায়গা নেই, খাবার ও পানীয় জলেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে বিপদে পড়েছেন পর্যটকরা। শিশুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের পরিবার। কেউ ধাবা খুঁজে নিয়েছেন, কেউ বা পরিবার নিয়ে বাসেই রাত কাটিয়েছেন।
মান্ডি জেলা পুলিশের ডিএসপি সঞ্জীব সুদ বলেছেন, “মান্ডি জেলার বাগিপুল এলাকার পরাশর লেকে হড়পা বান নেমেছে। পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দা সহ মোট ২০০ জন আটকে পড়েছেন। মান্ডি পরাশর রোডের বাগ্গি ব্রিজ হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত। ওই এলাকাতেই আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। ধসের জেরে ওই এলাকায় কমপক্ষে ৫০০টি গাড়ি আটকে পড়েছে। পর্যটকদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।”
অন্যদিকে, চারমিলে থেকে সাতমিলে যাওয়ার পথে পান্ডোহ-মান্ডি জাতীয় সড়কের উপরে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে বলে জানা গেছে। তুমুল বৃষ্টি ও ধসের জেরে বেশিরভাগ রাস্তাই ভেসে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই রাস্তা চালু হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। আপাতত কুলু থেকে আসা ছোট গাড়িগুলিকে চাইল চক থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।