ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
দীপু মনি বলেন, ওরা (বিএনপি) অবশ্য বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ঈদের পর আন্দোলন করছে। তবে কোন ঈদের পর করবে, সেটা অবশ্য জানি না। আমরাতো জানি, আন্দোলন মানে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকে। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এবং সত্যিকারের ইস্যু ছাড়া কোনো আন্দোলন হয় না। সে কারণেই বিএনপির সব আন্দোলনই শুধুমাত্র হাঁকডাকে সীমাবদ্ধ থাকে।
মঙ্গলবার (২৭) জুন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দীপু মনি বলেন, যারা অতীতে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, স্বৈরশাসন চালিয়েছে, কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছে, গ্রেনেড মেরে মানুষ হত্যা করেছে; তাদের হাতে গণতন্ত্র কখনো নিরাপদ নয়, ছিলও না। কাজেই তারা আজ গণতন্ত্রের জন্য যতই মায়াকান্না করুক, দেশবাসী জানে, গণতন্ত্র কার হাতে নিরাপদ।
দীপু মনি বলেন, জনগণ জানে, গণতন্ত্র এখন শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। জনগণ তার পাশে থেকে আবার তাকে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখবে। আজ আমাদের যে উন্নয়ন-অগ্রগতি, আমরা আরও ভালো থাকতে চাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমেই তা সম্ভব। এটি জনগণ জানে। কাজেই বিএনপি অর্থাৎ যারা গণতন্ত্র এবং মানুষ হত্যাকারী, তাদের আন্দোলন হাঁকডাক এ পর্যায়েই থাকবে।
ঈদের পর ৬ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপির ৪ সহযোগী সংগঠন
সরকারের দুর্নীতি, শোষণ ও দমন-পীড়নের পাশাপাশি নিম্নআয়ের মানুষের দুর্দশার প্রতিবাদে ঈদের পর ৬ জেলায় মেহনতি মানুষের পক্ষে সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চারটি সহযোগী সংগঠন।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দল শ্রমজীবী জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে উৎসাহিত করতে এসব কর্মসূচির আয়োজনে নেতৃত্ব দেবে।
রুহুল কবির রিজভী জানান, তাদের দলের সহযোগী সংগঠনগুলো ১৫ জুলাই নোয়াখালীতে প্রথম, ১৯ জুলাই দিনাজপুরে দ্বিতীয় এবং ২৮ জুলাই রাজশাহীতে তৃতীয় সমাবেশ পালন করবে। এই কর্মসূচির আওতায় অগাস্টে আরও তিনটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৫ অগাস্ট যশোর, ১২ অগাস্ট হবিগঞ্জ এবং সবশেষে ১৯ অগাস্ট বরিশালে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ, সরকারের দুর্নীতি, শোষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে বিএনপিসহ চারটি সহযোগী সংগঠন যৌথভাবে ছয়টি জেলা সদরে সমাবেশ করবে”।
তিনি বলেন, “ধনী-গরিবের মধ্যে ব্যবধান এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। নিম্নআয়ের লোকেরা গুরুতর অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং তারা অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে”।
সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, লুটপাট ও শোষণের কারণে দরিদ্ররা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “এ কারণেই আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে মেহনতি মানুষের পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছি”।
তিনি জানান, কর্মসূচি সফল করতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ তাদের ১০ দফা দাবিতে তরুণ প্রজন্মের সমর্থন আদায়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ৬টি সমাবেশ করেছে।