অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতকে যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান


মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তারা মিয়ানমারের ৭৮তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনের জন্য একটি কুচকাওয়াজের সময় ঘটনাস্থল ত্যাগ করছেন। ২৭ মার্চ, ২০২৩। ফাইল ছবি।

মিয়ানমারের একটি প্রেশার গ্রুপ ভারতকে তাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে এবং তার সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করে ভারতকে তার পশ্চিমা মিত্রদের আহ্বানে যোগ দিতে বলেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর করেন। উভয় দেশই অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সাথে কোয়াড জোটের সদস্য, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্যের বিপরীতে ভারসাম্য আনার জন্য কাজ করে বলে ব্যাপক ভাবে মনে করা হয়।

জাস্টিস ফর মিয়ানমার নামক প্রেশার গ্রুপ বলছে, তাদের গবেষণায় ভারতে তৈরি কিন্তু সুইডেনের নকশা করা অস্ত্রের অংশের সন্ধান পাওয়া গেছে। এমনকি ২০২১ সালের যে সামরিক অভ্যুত্থান দেশটির নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটায় সেটির পরেও এ ধরনের অস্ত্রের অংশ পাওয়া গেছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছেন। কারণ তারা নিরাপোস সশস্ত্র প্রতিরোধের সাথে লড়াই করছে, হাজার হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে এবং দেশজুড়ে ১৫ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্যরা মিয়ানমারের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ভারত এখনো সামরিক শাসনের কয়েকটি অবশিষ্ট সরবরাহকারীদের মধ্যে একটি। ভারতের সাথে মিয়ানমারের ১৬০০ কিলোমিটার অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে।

মিয়ানমারের মুখপাত্রী ইয়াদানার মং ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “ভারতীয় অস্ত্র এবং দ্বৈত ব্যবহারের পণ্য ও প্রযুক্তির রপ্তানি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটি মিয়ানমারকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যেতে সক্ষম করে।”

তিনি বলেন, ভারতের সাম্প্রতিক চালানগুলো এটিকে “আরও জটিল” করে তোলে এবং তার কোয়াড মিত্রদের “ পদক্ষেপ নিতে এবং জান্তার প্রতি ভারতের ঘৃণ্য সমর্থন বন্ধ করতে তাদের সুযোগের ব্যবহার শুরু করার জন্য” আহ্বান জানায়।

XS
SM
MD
LG