অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিক্ষোভ দমনে বৃহত্তর ক্ষমতা পেলো ব্রিটেনের পুলিশ


লন্ডনে সংসদ ভবনের বাইরে কর্মীরা বিক্ষোভ করছে। ২১ এপ্রিল, ২০২৩। (ফাইল ছবি)
লন্ডনে সংসদ ভবনের বাইরে কর্মীরা বিক্ষোভ করছে। ২১ এপ্রিল, ২০২৩। (ফাইল ছবি)

ব্রিটিশ পুলিশের জন্য নতুন এবং বর্ধিত ক্ষমতা রবিবার থেকে কার্যকর হয়েছে, যা রাস্তা অবরোধকারী কিংবা প্রধান ভবনগুলো অবরুদ্ধকারি বিক্ষোভকারীদের দমনে ব্যবহার করা হবে।

কর্তৃপক্ষ বারবার জাস্ট স্টপ অয়েলসহ পরিবেশবাদী প্রতিবাদ গোষ্ঠীর নিন্দা করেছে, যারা ব্যস্ততম মহাসড়ক এবং রাস্তাগুলিতে একাধিক বিক্ষোভের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের আশু প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে চেয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাদের বিক্ষোভ প্রায়ই গাড়ি চলাচলে গুরুতর বিঘ্ন ঘটায়।

রবিবার থেকে, পুলিশের হাতে প্রতিবাদ প্রতিহত করার ক্ষমতা থাকবে। সমালোচকরা বলেছেন, কঠোর আইনগুলি প্রতিবাদ করার অধিকারের জন্য হুমকি স্বরূপ, তবে ইউকে কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ব্যবস্থাগুলি "স্বার্থপর সংখ্যালঘুদের অবরোধ" বন্ধ করার জন্যই গ্রহণ করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন পাবলিক অর্ডার অ্যাক্টের অধীনে, প্রতিবাদকারীরা "টানেলিং" - বা নতুন অবকাঠামো নির্মাণে বাধা দেওয়ার জন্য ভূগর্ভস্থ টানেল খননের জন্য দোষী সাব্যস্ত হবে – এতে তিন বছরের জেল হতে পারে। এছাড়া প্রধান পরিবহন প্রকল্পে বাধা দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত যে কারো ছয় মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে।

গত বছর যুক্তরাজ্যে প্রধান সড়ক ও সেতু বন্ধ করার জন্য শত শত জলবায়ু প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অনেক কর্মী রাস্তার মাঝখানে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিবাদ করেছিলেন — যাতে পুলিশের চলাচল করা আরও কঠিন হয়।

নাগরিক অবাধ্যতা হল প্রত্যক্ষ পদক্ষেপের একটি প্রবণতা, যেমন কর্মীরা তাদের কার্যকলাপের প্রতি মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিখ্যাত যাদুঘরের পেইন্টিংগুলিতে আঠা কিংবা শিল্পকর্মগুলিতে স্যুপ নিক্ষেপ করেছে।

পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভ মোকাবেলা করা বেশ ব্যয়বহুল এবং এ কারণে অপরাধ মোকাবেলার মতো অন্যান্য কাজ থেকে হাজার হাজার কর্মকর্তাকে এই কাজে আনতে হয়েছে।

XS
SM
MD
LG