অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গৃহিণীদের অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি দিলো ভারতের একটি আদালত


উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরের লোকটাক হ্রদের তীরে এক নারী তার বাড়ির উঠানে একটি শিশুকে খাওয়াচ্ছেন। ১৮ জুন, ২০২১। ফাইল ছবি।
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরের লোকটাক হ্রদের তীরে এক নারী তার বাড়ির উঠানে একটি শিশুকে খাওয়াচ্ছেন। ১৮ জুন, ২০২১। ফাইল ছবি।

ভারতের বহু গৃহিণী তাদের অবৈতনিক গৃহকর্মের জন্য স্বীকৃতি পান না। কিন্তু দক্ষিণ ভারতে এক আদালতের সাম্প্রতিক একটি রায়ে একজন গৃহবধূকে তার স্বামীর আয়ে অবদানকে আইনি স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী রায় হিসেবে সমাদৃত হয়েছে যা সংস্কারের জন্য ভিত্তি স্থাপন করতে পারে।

নারী অধিকার প্রবক্তারা বলছেন, এই রায়টি এমন একটি দেশে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ যেখানে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ খুব কম এবং বেশিরভাগ নারীই গৃহিণী।

দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে একটি গার্হস্থ্য বিরোধের মামলায় একজন স্বামী দম্পতির মালিকানাধীন সমস্ত সম্পত্তি এবং সম্পদের মালিকানা দাবি করেছিলেন যে, তিনি বলেছিলেন যে, তার উপার্জন দিয়ে কেনা হয়েছিল। ২০০৭ সালে তার মৃত্যুর পর তার সন্তানরা মামলাটি চালায়।

২১ জুন দেয়া রায়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণান রামাসামি রায় প্রদান করেন, যে নারী পরিবারের দেখাশোনা করেন সম্পত্তি এবং সম্পদে তার সমান অংশ ছিল।

উক্ত নারীর আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, যখন তারা বিয়ে করেছিলেন, তখন দম্পতির পারস্পরিক বোঝাপড়া ছিল যে, স্বামী বাইরে কাজ করবে, তিনি বাড়িতেই থাকবেন এবং তাদের সন্তানদের যত্ন নেবেন।

আদালত বলেছে, স্বামী উপার্জনের মাধ্যমে বা স্ত্রীর দ্বারা পরিবার এবং সন্তানদের সেবা এবং দেখাশোনার মাধ্যমে যে অবদান রাখা হয়েছে- এর অর্থ উভয়ই তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় যা অর্জন করেছে তার সমান অধিকারী।

বিচারক বলেন, স্ত্রীর অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এমন আইন না থাকলেও স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে আদালতকে বাধা দেয়ার মত আইনও নেই।

নারী অধিকার আইনজীবী ফ্লাভিয়া আগনেস ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, এটি খুব জরুরি একটি রায় যা নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি দেয় এবং যেই কাজ নারীর স্বামীর অর্জিত সম্পদের অংশে রূপান্তরিত হয়।

XS
SM
MD
LG