সোমবার পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিদ্রোহীরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি সামরিক কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে এবং একজন সেনা মেজরসহ দুই নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যা করেছে।
উত্তাল বেলুচিস্তান প্রদেশের বালোরে রাতে এই মারাত্মক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কোনো গোষ্ঠী বেলুচিস্তানে রবিবারের মারাত্মক অতর্কিত হামলার দায় স্বীকার করেনি। ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি জাতিগত বালুচ বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি নিয়মিতভাবে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
প্রদেশের অন্য অংশে ভারী অস্ত্রধারী জঙ্গিরা রকেট চালিত গ্রেনেড এবং অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে আক্রমণ করার কয়েক ঘণ্টা পরে রবিবারের আক্রমণটি ঘটে। নিরাপত্তা চৌকির হামলায় তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন সৈন্য নিহত হয়।
প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী যৌথভাবে শিরানি জেলায় পোস্টটি দেখভাল করছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, রবিবার বেলুচিস্তানে হামলায় “ছয়জন নিরাপত্তা কর্মী শহীদ হওয়ায় আমিসহ সমগ্র জাতি শোকাহত।”
২০২৩ সালে পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ জঙ্গি হামলা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীসহ প্রায় ৩৯০ জন নিহত হয়েছে এবং ৬৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী গত সপ্তাহে বলেছে, তারা দেশব্যাপী হাজার হাজার সন্ত্রাসবিরোধীর বিরুদ্ধে অভিযানে "প্রায় ১২০০ সন্ত্রাসীকে হত্যা বা বন্দি করেছে।" তবে এসব দাবি নিরপেক্ষভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর-জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী একটি সংবাদ সম্মেলনে বিশদ বিবরণ জানিয়ে বলেছেন, এই অভিযানের সময় ৯৫ জন সামরিক কর্মকর্তা এবং সেনাও নিহত হয়েছে।