সোমবারের সান্ধ্যকালীন বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি ইউক্রেনকে নেটো জোটের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সম্পদ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জানান, তার দেশ রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, “এতে কোনো সন্দেহ নেই যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে ইউক্রেনকে সঙ্গে না রেখে উপায় নেই এবং নেটো জোটেও ইউক্রেনকে সঙ্গে রাখতে হবে। এ কারণেই এই জোটে আমাদের অন্তর্ভুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা অর্জন করতে হবে।”
জেলেন্সকির এই মন্তব্য এমন সময় এলো যখন নেটোর নেতারা লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে ১১ ও ১২ জুলাই ২ দিন ব্যাপী সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ মুহূর্তে ইউক্রেন পালটা আক্রমণ চালাচ্ছে এবং মস্কোতে বিরাজ করছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। যার ফলে নেটো ও ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়।
ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে গত বছর নেটোতে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে, তবে সব সদস্য রাষ্ট্র একমত হয়েছে, যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে ইউক্রেন এই জোটে যোগ দেবে না।
সোমবার ব্রাসেলসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেটোর শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল রব বাওয়ার স্বীকার করেন, ইউক্রেনের জয়ী হওয়ার পথ কঠিন ও দীর্ঘ।
তিনি বলেন, “এই প্রতি আক্রমণ, এটা খুবই জটিল”। তিনি আরো জানান, ইউক্রেনের বাহিনী সতর্কতা অবলম্বন করে ঠিক কাজটাই করছে। “মানুষের কখনোই ভাবা উচিৎ না যে এটা খুব সহজ একটি কাজ। এটা কখনোই সেরকম হবে না”, জানিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, রুশ প্রতিরক্ষা ব্যূহ কখনো কখনো ৩০ কিলোমিটার গভীর (১৮ দশমিক ৫ মাইল) এবং ইউক্রেনের বাহিনীকে স্থল মাইন ও অন্যান্য বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।