অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে


কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে

ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং উজানের ঢল না থাকায় কুড়িগ্রাম জেলায় দুধকুমার, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে তিস্তা নদীর পানি। এই নদীর পানি নিম্নাঞ্চলগুলো থেকে না সরায় ধরলা পাড়ের কয়েকটি জায়গায় এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে। ওই সব এলাকার ফসলি জমি আর শাক-সবজির খেত এখনো পানির নিচে রয়েছে।

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গায় ধরলা পাড়সংলগ্ন পাড়ের বাসিন্দা কোবাদ আলী (৬০) জানান, পানি গতকাল রাত থেকে কমলেও তার ঘরে এখনো পানি আছে ৪ দিন হলো।

আরেক বাসিন্দা আয়েশা বেগম (৫০) জানান, তার ২টি ঘর নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়া তিনি মানুষের বাড়িতে আছেন কয় দিন ধরে।

শুলকুর বাজারের কৃষক গনি মিয়া (৬০) জানান, তার ৩০ শতক জমি ৭ দিন পানির নিচে ছিল। জমিতে পটল আর ঝিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। পটল আর ঝিঙ্গার গাছগুলো মরে গেছে। জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আগে তিনি অর্ধেক আবাদ তুলতে পেরেছিলেস। বাকিগুলো না তুলতে না পারায় বড় ধরনের লোকসান হয়েছে তাঁর।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় দুধকুমার নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১২২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার, ধরলা সদর পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার, দুধকুমার পাটেশ্বরী পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার ও তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৗশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “উজানের ঢলে পানি না আসায় এবং আর ভারী বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কুড়িগ্রামের সবগুলো নদ-নদীর পানি গতকাল বিকেল থেকে কমতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী এক সপ্তাহ আপাতত বন্যার শঙ্কা নেই”।

XS
SM
MD
LG