গৃহযুদ্ধ অব্যাহত থাকায় নানা দিক দিয়ে চাপের মোকাবিলা করছেন লক্ষ লক্ষ সিরীয়। এই দেশকে গ্রাস করেছে এক গুরুতর অর্থনৈতিক সংকট। কয়েকটি ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে উদ্ধার পেয়েছে তারা। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত তাদের পরিস্থিতির গুরুত্বকে লঘু করে দিয়েছে।
জুন মাসে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি(ডব্লিউএফপি) বলেছে, চলতি মাসে এই দেশের মধ্যে ২৫ লাখ সিরীয়কে খাদ্য সহায়তা দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হবে যদি তারা এই বছর শেষ হওয়ার আগে অন্তত ১৮ লাখ ডলার অনুদান না পায় ।
সিরীয় উদ্বাস্তুরা ভাল অবস্থায় নেই। এই অঞ্চলে সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘের মানবিক আবেদনে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থের যোগান উল্লেখযোগ্য ভাবে কম।
জর্দানে সরকার প্রায় ১৩ লাখ উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছে। এদের বেশিরভাগই সিরীয়। ডব্লিউএফপি ৪,৬৫,০০০ ঝুঁকিগ্রস্ত সিরীয়দের সাহায্য করছে কিন্তু, তহবিলের ঘাটতির কারণে এই মাসে তাদের নগদ সাহায্যের পরিমাণ কাটছাঁট করতে হয়েছিল এবং স্থানীয় গোষ্ঠীতে থাকা ৩,৪৬,০০০ সিরীয় নাগরিকের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে পারা গেছে। ধুঁকতে থাকা পরিবারগুলির কাছে এই কাটছাঁটের প্রভাব মারাত্মক।
ডব্লিউএফপির জর্দানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আলবের্তো কোরেইয়া মেন্ডেস বলেন, "আমরা যা দেখতে পাচ্ছি... তাদের ঋণ বাড়ছে। গোষ্ঠীতে থাকা পরিবারগুলির গড় ঋণ ১৫০০ ডলার। এটা বিপুল। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মানুষ তাদের বাচ্চাদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাস্তায় ভিক্ষা করার জন্য। মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ের হার বৃদ্ধি পেতে দেখছি আমরা।"