জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বলেছেন, সহিংস সশস্ত্র অপরাধী চক্রের কারণে চলমান দুঃস্বপ্নে জীবনযাপন করছেন হাইতির নাগরিকরা। অপরাধী চক্রগুলো এই দ্বীপ দেশটির শ্বাসরোধ করে রেখেছে। তিনি, দেশটির জাতীয় পুলিশকে সহায়তা করতে, একটি আন্তর্জাতিক সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে গুতেরেস সংবাদদাতাদের বলেন , হাইতির জন্য মানবিক সহায়তার পাশাপাশি নিরাপত্তা সহায়তা দরকার। এ ছাড়া, সংকট থেকে বের হয়ে আসার জন্য একটি রাজনৈতিক পথও প্রয়োজন।
অপরাধী চক্রের কাছ থেকে আসা হুমকির পর, গত অক্টোবরে হাইতির সরকার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করে। এই বাহিনীর কাজ হবে, সেই সব অপরাধী গোষ্ঠীকে নির্মূল করা, যারা জনগণকে আতঙ্কের মধ্যে রাখছে; তাদের খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শিক্ষা এবং অনেক মৌলিক পরিষেবার নাগাল পেতে বাধা দিচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব এবং পরিষেবাগুলো পুনরুদ্ধার করতে পুলিশের জন্যও অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম প্রয়োজন।
কিন্তু, নয় মাস পার হয়ে গেলেও, নিরাপত্তা পরিষদ একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কোনো অনুমোদন দেয়নি। আর, কোনো দেশও এ বিষয়ে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য এগিয়ে আসেনি।
বৃহস্পতিবার হাইতির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ভিক্টর জেনেউস, নিরাপত্তা পরিষদের কাছে জরুরি পরিস্থিতি সম্পর্কে তার সরকারের আবেদনের কথা আবার উল্লেখ করেন। এসময় তিনি বলেন, “ ডুবে যাওয়া” থেকে তার দেশকে রক্ষা করা নিরাপত্তা পরিষদের নৈতিক দায়িত্ব।
ক্যারিবীয় ব্লক ক্যারিকম এই সপ্তাহের শুরুতে তাদের শীর্ষ সম্মেলন করেছে এবং হাইতির অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে। জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস ক্যারিকম-এর পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, গ্রুপটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের একটি প্যানেল হাইতিতে পাঠাচ্ছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।