বুধবার নেটো নেতারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সাথে সাক্ষাৎ করার কথা। লিথুনিয়ার রাজধানীতে নেটো সম্মেলন বুধবার শেষ হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন করার ওপর জোর দেয়া এবং জোটে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বুধবারের আলোচ্যসূচিতে প্রথমবারের মতো নেটো-ইউক্রেন কাউন্সিলের বৈঠক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জেলেন্সকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে পৃথক আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।চ
মঙ্গলবার বাইডেন বলেছিলেন, নেটো শীর্ষ সম্মেলনে একটি “ঐতিহাসিক মুহূর্ত” উদযাপিত হয়েছে, কারণ ইউক্রেনের যুদ্ধের চারপাশের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে নিরাপত্তা ব্লক প্রসারিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
স্টলটেনবার্গ মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি “পুরোপুরি আস্থাশীল” যে তুরস্কের পার্লামেন্ট সুইডেনকে নেটো সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
মঙ্গলবার স্টলটেনবার্গ ভিলনিয়াসে বলেছিলেন, তিনি মে মাসে নেটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের সময় একটি প্যাকেজ প্রস্তাব করেছিলেন যেখানে ইউক্রেনের নেটো সদস্যপদের আবেদনের ক্ষেত্রে কর্ম পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার অপসারণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
শীর্ষ সম্মেলনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হলো সদস্যরা তাদের জিডিপির অন্তত ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার প্রতিশ্রুতিতে একমত হতে এবং কার্যকর করতে পারে কি না। বর্তমানে মাত্র সাত সদস্য দেশ এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে।
শীর্ষ সম্মেলনে জোটের বেশ কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য নতুন সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে। জার্মানি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার, যুদ্ধের ট্যাংক এবং গোলাবারুদসহ ৭৭ কোটি ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন, তার সরকার ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।