উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব উপকূল থেকে একটি দীর্ঘপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এটি এমন সময় নিক্ষেপ করা হয়েছে যখন জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা নেটো বৈঠকের জন্য লিথুনিয়ায় রয়েছেন। বুধবার শেষের দিকে একটি দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এর আশেপাশের একটি এলাকা থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে কথিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়।
সিউল এবং টোকিও জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি উঁচু পথ দিয়ে উড়ে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পূর্বে ভূপতিত হয়।
জাপানের হিসাব অনুযায়ী ঐ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ৭৪ মিনিট পর পতিত হয়। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলছে, এটা যদি সঠিক হয়, তাহলে উত্তর কোরিয়ার কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য এটাই হবে দীর্ঘতম ফ্লাইট।
ইউনের কার্যালয় জানায়, উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়ে ইউন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বেআইনি কার্যক্রমের জবাব দেয়া হবে। এবং তিনি নেটো সম্মেলনে অংশ নেয়া দেশগুলোর সমর্থন জোগাড় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেন, টোকিও তাৎক্ষণিকভাবে বেইজিং-এ তার দূতাবাসের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের আগে ৩১টি নেটো রাষ্ট্র ভিলনিয়াস সম্মেলনে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে তারা পিয়ংইয়ংকে তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে, যাচাইযোগ্য এবং অপরিবর্তনীয় পদ্ধতিতে পরিত্যাগ করার এবং তাদেরকে বারবার যে সংলাপের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে তা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দলের ৪ সদস্য- জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড- এই অঞ্চলে চীনের প্রভাবের কারণে নেটো দেশগুলোর সাথে কথা বলছে।
জুহাইউন লি এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।