চার বছর আগে ভারতের চন্দ্রযান-২ এর সফল উৎক্ষেপণ হয়নি। সেজন্য আফসোস ছিল। এবার যেন চন্দ্রযান ২-এর যাত্রা শুভ হয়। মনে প্রাণে সেই প্রার্থনা করছেন বছর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বছর আটষট্টির মধুসূদন কুমার।
হুগলি জেলার গুরাপের খাজুরদহের মাজিনান শিবপুর গ্রামে বাড়ি মধুসূদন কুমারের। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই উৎক্ষেপণের পর ৬ সেপ্টেম্বর ল্যান্ডার বিক্রমকে চাঁদের পিঠে নামাতে ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২।
সেই মিশনে সামিল ছিলেন মধুসূদনবাবুর বড় ছেলে বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্ত কুমার। চন্দ্রযান-২ এর যোগাযোগের অ্যান্টেনার ডিজাইনের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। চন্দ্রকান্ত কুমার বর্তমানে ইসরো-এ জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে কর্মরত। চন্দ্রকান্তর ভাই শশীকান্ত কুমার-ও ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-এ কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার।
মাজিনান শিবপুর গ্রামে স্ত্রী অসীমাকে নিয়ে থাকেন মধুসূদন কুমার। দুই ছেলেই কৃতি। তবে তাঁদের নিজেদের জীবনযাত্রায় কোনও পরিবর্তন আসেনি। এখনও চাষবাসই তাঁদের দিনের অনেকটা জুড়ে থাকে। মিশন চন্দ্রযান-৩ সফল হোক গোটা দেশবাসীর সঙ্গে চাইছেন মধুসূদনবাবু আর তাঁর স্ত্রী অসীমা। ছেলেরা বছরে এক দু’বার আসেন। জানুয়ারি মাসে সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন চন্দ্রকান্ত। অবশ্য প্রতিদিনই দুই ছেলের সঙ্গে কথা হয়।
মধুসূদনবাবু জানালেন, মিশন চন্দ্রযান-৩ এ নেই চন্দ্রকান্ত। তবে চন্দ্রযান-৩ র উৎক্ষেপণপর্ব গভীর উৎকন্ঠাতেই কেটেছে তাঁর। আসলে তাঁদের টিমের পাঠানো চন্দ্রযান-২-এর অরবিটর যা চাঁদের কক্ষপথে রয়েছে তার সাহায্য নেবে চন্দ্রযান-৩ এর ভিতরে থাকা ল্যান্ডার। এই পর্ব মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত চোখে ঘুম নেই চন্দ্রকান্ত সহ বাকি বিজ্ঞানীদের। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। এখন ভালোভাবে তা চাঁদের মাটিতে পৌঁছে যাক, গোটা দেশের সঙ্গে সেই প্রার্থনায় সামিল হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে চন্দ্রকান্ত কুমারের বাবা-মা-ও।