বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে, শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রবিবার (১৬ জুলাই)বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর অধ্যক্ষ সম্মেলন এবং বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দরকার স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ। আমরা বাংলাদেশকে এভাবেই গড়ে তুলতে চাই। এজন্য, সর্বাধিক প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনা।”
শেখ হাসিনা বলেন যে তার সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। তিনি উল্লেখ করেন, সরকার ৩৯টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। হাইটেক পার্কগুলোর কম্পিউটার ও ইনকিউবেশন সেন্টার-এ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং ন্যানো প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তরুণ প্রজন্ম যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে, সেজন্য আমরা এটা করছি। তারা যাতে আরো এগিয়ে যেতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে একই কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
শিক্ষার্থীরা যাতে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে, সে লক্ষ্যে শিক্ষকদের আরো আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদানের অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আজকের তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতা হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দেন।তিনি বলেন, “দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্যপরায়ণতা থাকতে হবে। শুধু নিজেকে নিয়ে থাকলে হবে না। দেশের মানুষ যত উন্নত হবে, তত বেশি তোমরা উন্নত হবে।”
শেখ হাসিনা দেশের শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা বর্ণনা করেন।বলেন, “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। আমাদের সন্তানরা মেধাবী, তাদের বৈশ্বিক শিক্ষার গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।”