গত শুক্রবার ১৪ জুলাই ভারতের দিল্লি সরকারের মামলায় কেন্দ্রকে নোটিস ধরিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট । দিল্লি সরকারের অফিসার বদলির ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে জারি করা অধ্যাদেশ সম্পর্কে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস ধরিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
সোমবার ১৭ জুলাই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চেই ওঠে দিল্লি ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা।
দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি উমেশ কুমারকে ওই পদে নিয়োগ করতে চান।
কিন্তু মাস ছয়েক হল ওই নিয়োগ আটকে আছে উপ রাজ্যপাল বি কে সাক্সেনার আপত্তিতে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি উমেশ কুমারকেই ওই পদে নিয়োগ করতে চায় রাজ্য সরকার।
দিল্লি সরকারের সঙ্গে উপ রাজ্যপালের এমন অনেক ইস্যুতেই বিরোধ চলছে। উপ রাজ্যপাল সাক্সেনা এর আগে দিল্লির শিক্ষকদের বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্তে বাধ সাধেন। দীর্ঘসময় এই সংক্রান্ত ফাইল আটকে রাখেন তিনি।
সোমবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিংহর বেঞ্চ দিল্লির রাজ্য সরকারের সঙ্গে উপ রাজ্যপালের লাগাতার বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে বলে, দুজন পদাধিকারীর মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ কাম্য নয়।
দুই বিচারপতি আইনজীবীদের বলেন, "আদালতের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী ও উপ রাজ্যপালকে গিয়ে বলুন। ওঁরা কী বলেন তা বৃহস্পতিবার আদালতে এসে জানান।"
বিচারালয়ের একাংশের মতে এক বিচারপতির নিয়োগ ঘিরে মামলা হওয়াতেই সুপ্রিম কোর্ট এই ব্যাপারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না। দেশের শীর্ষ আদালত চাইছে দু’পক্ষ আপসে বিষয়টি মিটিয়ে নিক।