ভারতের মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে নাটকীয়তা কমছে না। নামছে না উত্তেজনার পারদ। শুক্রবার ১৪ জুলাইয়ের বিকেলের পর রবিবার ১৬ জুলাইয়ের দুপুর। রাজনৈতিক ছাড়াছাড়ির পর একদিনের ব্যবধানে দু’বার দেখা হল কাকা এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার ও ভাইপো শিন্ডে মন্ত্রীসভায় সদ্য দফতর পাওয়া অজিত পাওয়ারের।
শুক্রবার বিকেলে অজিত পাওয়ার, কাকা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে গিয়েছিলেন কাকিমাকে দেখতে। শরদ পত্নী অসুস্থ প্রতিভা সেদিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন। অজিতের সঙ্গে সেদিন কাকা শরদ এবং খুড়তুতো বোন সুপ্রিয়ার দেখা হয়। উল্লেখ্য, ২ জুলাই অজিত আচমকাই আট বিধায়ককে নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিবসেনা সরকারে যোগ দেওয়ার পর তাঁদের মধ্যে কথা এবং মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল।
রবিবার আর একা নন, অজিত একপ্রকার সদলবলে সিনিয়র পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে হাজির হন।
শরদ দুপুরে গিয়েছিলেন ওয়াইবি চবন সেন্টারে দলের আঞ্চলিক শাখার বৈঠকে। সেখানেই গিয়ে হাজির হন অজিত, প্রফুল প্যাটেল, ছগন ভুজবলের মতো বিদ্রোহী নেতারা।
দীর্ঘ সময় শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। ছিলেন শরদ শিবিরের নেতা এনসিপির রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাতিলও। অজিত, প্রফুল, ছগনদের দল থেকে বহিষ্কার করেছেন শরদ। অন্যদিকে, অজিত পাওয়ার নিজেকে এনসিপির সুপ্রিমো ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছেন।
কিন্তু রবিবার অজিত শিবির শরদ পাওয়ারকে অনুরোধ করেন, দল না ভাঙতে। অর্থাৎ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে চাপ দেন। বৈঠক শেষে রাজ্যসভার সাংসদ প্রফুল প্যাটেল স্বীকার করেন, তাঁরা শরদ পাওয়ারকে অনুরোধ করেছেন, দল অটুট রাখার চেষ্টা করতে। প্রফুল জানান, সিনিয়র পাওয়ার তাঁদের কথা মনযোগ দিয়ে শুনেছেন। কোনও কথা বলেননি।
কিন্তু অজিত শিবিরের মুখে ঐক্যের আহ্বান কেন সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত, মহারাষ্ট্রে জোর জল্পনা চলছে, দলত্যাগ বিরোধী আইনে শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও তাঁর ১৫ বিধায়কের বিধানসভার সদস্য পদ খারিজ হয়ে যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট গত শুক্রবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছে দলত্যাগ বিরোধী আইনে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দ্রুত নিতে। বিষয়টি ফেলে রাখা যাবে না। মনে করা হচ্ছে, অজিত শিবির তাই চিন্তায় আছে তাঁদেরও একই পরিণতি হলে মন্ত্রিসভায় থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যে শরদ শিবির অজিতদের সদস্যপদ খারিজ করার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে স্পিকারকে।