অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কর্ণাটকে বিরোধী মহাজোটের বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতির পরেই বক্তা মমতা, কেজরিওয়াল


কর্ণাটকে বিরোধী মহাজোটের বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতির পরেই বক্তা মমতা, কেজরিওয়াল
কর্ণাটকে বিরোধী মহাজোটের বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতির পরেই বক্তা মমতা, কেজরিওয়াল

আগামী বছর ২০২৪-এ ভারতে লোকসভা নির্বাচন। দেশে যে বিজেপি বিরোধী মহাজোট তৈরি হয়েছে, তার লক্ষ্য সেখানে কেন্দ্রে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করা। এরজন্য জোটের অন্যতম - কংগ্রেস, জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলির সঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে যে রাজনৈতিক বিরোধিতা তাকে এই জাতীয় মঞ্চে জায়গা দিতে রাজি নয়।জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে সনিয়া-খাড়্গে-রাহুল জুটি আপাতত রাজ্য-রাজনীতির সমীকরণ নিয়ে ভাবতে নারাজ। মঙ্গলবার ১৮ জুলাই, বেঙ্গালুরুর বৈঠকের ভিতরে ও বাইরে কংগ্রেসের শীর্ষ ত্রয়ী নানা ভাবে এই বার্তা দিয়েছেন।

সোমবার ১৭ জুলাই নৈশভোজের আগে ঘরোয়া আলোচনায় সনিয়া গান্ধীর পাশের আসনটিই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বরাদ্দ। দুই নেত্রী একান্তে কথা বলেছেন প্রায় আধ ঘণ্টা।

মঙ্গলবার মূল বৈঠকেও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়ার পাশের চেয়ারটিই ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রীর জন্য বরাদ্দ। বাকিরা বলার সময় গলা নামিয়ে কথা বলতে দেখা যায় সনিয়া-মমতাকে। আর বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতারা মমতা ও রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি বসার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেখানেও দু’জনকে কথা বলতে দেখা যায়। আর দিনের শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকের আলোচনাতেও বাড়তি গুরুত্ব পেলেন মমতা।

বেঙ্গালুরুর বৈঠকের আহ্বায়ক মল্লিকার্জুন খাড়্গের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে মাইক্রোফোন তুলে দেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বভাবসিদ্ধ আবেগ তাড়িত কণ্ঠে নয়া জোট ‘ইন্ডিয়া’র জয়গান গেয়েছেন। জোর দিয়ে বলেছেন বৈঠকের সাফল্যের কথা।

মমতার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডাক পড়ে সাংবাদিকদের সামনে বলার জন্য।

চারদিন আগেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিতি নিয়ে সংশয় ছিল। দিল্লি অর্ডিন্যান্সের কংগ্রেস সংসদে বিরোধিতা করবে কথা দেওয়ায় কেজরিওয়াল সদলবলে বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দেন। দিল্লি ও পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতাদের তীব্র আপত্তির কারণেই কংগ্রেস অর্ডিন্যান্স প্রশ্নে অবস্থান ঝুলিয়ে রেখেছিল। রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ - মমতার পরই কেজরিওয়ালের হাতে মাইক তুলে দিয়ে কংগ্রেস মঙ্গলবার আরও স্পষ্ট করল দল এখন মোদী সরকারের বিদায়কেই পাখির চোখ করেছে। বেঙ্গালুরুর বৈঠকে দলের মুখ রক্ষা হয়েছে ২৬টি দল যোগ দেওয়ায়। তার থেকেও বড় কথা কংগ্রেসের ঘোরতর সমালোচক কেজরিওয়াল তাঁর পুরো টিম নিয়ে হাজির ছিলেন।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বারে বারে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এমনকী তিনি ও কেজরিওয়াল কংগ্রেসকে বাদ রেখে জোট করার পক্ষেও সওয়াল করেন। সেই তৃণমূল নেত্রী যেমন কংগ্রেস সম্পর্কে অবস্থান বদল করেছেন, কংগ্রেসও তাঁকে উপযুক্ত মর্যাদা দিয়েছে জোটের বাকি পর্ব এগিয়ে নিয়ে যেতে। সেই কারণেই মমতা, কেজরিওয়ালদের পরে ডাক পড়ে রাহুল গান্ধীর। কারণ কংগ্রেস এখন ‘ইন্ডিয়া’ অর্থাৎ ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’-কে আশ্রয় করে ২০২৪-এ মোদী সরকারের বিদায়ের সংকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। এমনটাই ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞদের।

XS
SM
MD
LG