অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পূর্ব ভারতের অসমে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি, হাজার হাজার মানুষ বিপন্ন, জল ঢুকছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে


পূর্ব ভারতের অসমে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি, হাজার হাজার মানুষ বিপন্ন, জল ঢুকছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে।
পূর্ব ভারতের অসমে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি, হাজার হাজার মানুষ বিপন্ন, জল ঢুকছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে।

অবিরাম বৃষ্টিতে বানভাসি পূর্ব ভারতের অসম। এই রাজ্যে ব্রহ্মপুত্র সহ সমস্ত নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। সঙ্কটে প্রায় ৫ লক্ষ বাসিন্দা। এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে প্লাবিত ১০টি জেলা। বন্যার জল ঢুকে পড়েছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানেও। অসম প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের আগরাতলি ফরেস্ট রেঞ্জের প্রায় ৯০ শতাংশই জলের তলায় চলে গেছে। অসমের প্রশাসন এবং বনবিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছে, ওই জাতীয় উদ্যানের প্রাণীদের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে বিশেষ এবং বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে।

বন্যার জেরে ইতিমধ্যে এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে এখনই রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। ফলে ব্রহ্মপুত্রর জলস্তর আরও বাড়বে এবং তারফলে অসমের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে চলেছে।

অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, সেখানের ১০টি জেলা এখন জলমগ্ন। তার ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ। সেখানে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে গোলাঘাট এবং ধেমাজি জেলায়। গোলাঘাট এলাকায় প্রায় ২৯ হাজার, ধেমাজি জেলার প্রায় ২৮ হাজার এবং শিবসাগরের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বাসিন্দা ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করতে কাজে লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও।

টানা বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন নদী ফুঁসতে শুরু করেছে। সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জোরহাট ও ধুবড়িতে ব্রহ্মপুত্রে নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। একইভাবে কামরূপ, নলবাড়ি এবং বরাপেটায় নদীগুলির জল বিপদের লাল সীমা অতিক্রম করেছে। ফলে বন্যা-পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

XS
SM
MD
LG