বুধবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার বাহিনী দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসা এবং রাজধানী কিয়েভ ও অন্যান্য অঞ্চল লক্ষ্য করে টানা দ্বিতীয় রাতে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, রাশিয়া সারা দেশে যে হামলা চালিয়েছে, সামরিক বাহিনী সেগুলোর মধ্যে ৬৩টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের মধ্যে ৩৭টি ভূপাতিত করেছে। হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল ওডেসা এলাকায় অবকাঠামো এবং সামরিক স্থাপনা।
বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেছেন, রাশিয়ার সর্বসাম্প্রতিক হামলা “শস্য চুক্তির অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে। প্রতিটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র কেবল ইউক্রেনের জন্য নয়, বিশ্বের প্রত্যেকের জন্য, যারা একটি স্বাভাবিক এবং নিরাপদ জীবন চায় তাদের জন্য একটি আঘাত।”
ওডেসার আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার হামলাটিকে “শক্তিশালী” বলে অভিহিত করেছেন এবং লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, সামরিক বাহিনী ইরানের তৈরি ৩২টি শাহেদ ড্রোনের মধ্যে ২৩টি এবং রাশিয়ার ১৪টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
কিয়েভের নগর সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো টেলিগ্রামে বলেছেন, কিয়েভকে লক্ষ্যবস্তু করে এমন সব ড্রোনকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আটকে দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার শক্ত ঘাঁটির বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনীর আপাত ধীর গতির পাল্টা আক্রমণের ফলাফলের বিচার করার মতো যথেষ্ট সময় এখনো অতিবাহিত হয়নি।
সমর বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন জুন মাসের শুরু থেকে এই পর্যন্ত ২৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে, তবে রাশিয়া বিস্তৃত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।