বছরে প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকার হিরের কেনাবেচা চলে গুজরাতের সুরাতে। ভারতে সুরাতের আর এক পরিচয় ‘হিরের শহর’ বলে। মহীধরপুর, মিনি বাজার আর চোকসি বাজার— মূলত এই তিনটি বাজারকে কেন্দ্র করে চলে হিরের স্থানীয় ব্যবসা। সুরাতের হিরের বাজারের বিশেষত্ব হল, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কোটি কোটি টাকার হিরের বিকিকিনি। বছরের পর বছর ধরে এই একই ছবি দেখা যায় ‘হিরের শহর’-এ।
সুরাতের হিরের বাজারকে বিশ্বের কাছে পরিচিতি দিতে উদ্যোগ নিয়েছিল ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর তারই প্রতিফলন হল এই সুপার ডায়মন্ড মার্কেট বা 'ডায়মন্ড বোর্স'। প্রায় ৭ কোটি ১০ লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে তৈরি এই ডায়মন্ড ইন্ডাস্ট্রি এখন আকারে-আয়তনে পেন্টাগন-এর থেকেও বড়। ৯টা বড় বিল্ডিং নিয়ে তৈরি হয়েছে ডায়মন্ড কমপ্লেক্স।
প্রায় ৩২০০ কোটি টাকা খরচ করে সুরাতের এই হিরের বাজার তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৩৫০টি হিরে কোম্পানির অফিস ছাড়াও, এই ভবনের নবম টাওয়ারে হিরে পরীক্ষার ল্যাবরেটরি, সার্টিফিকেশন জ়োন, ব্যাঙ্ক, নিরাপত্তা ভল্ট, কাস্টম জ়োন এবং রেস্তোরাঁও থাকবে।
গোটা কমপ্লেক্সে বিদ্যুতের জোগান আসবে সোলার প্যানেল থেকে। ৯টা টাওয়ার পরস্পরের সঙ্গে লম্বা টার্মিনাল দিয়ে যুক্ত থাকবে। অনেকটা এয়ারপোর্টের টার্মিনালের মতো। ডায়মন্ড কমপ্লেক্সের ভেতরে ৪৭০০ অফিস তৈরির জায়গা আছে, আছে ১৩১টি লিফ্ট।