চলতি বছরের গোড়ায় বাজেট অধিবেশনে আদানি ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে ময়দানে ছিল কংগ্রেস-সহ ১৯টি বিরোধী দল। বৃহস্পতিবার ১৯ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হতে চলেছে ২৬। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ২৬ দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র লড়াইয়ের প্রথম পর্যায়টি তাই শুরু হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবারের সংসদেই।
বুধবার সংসদে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে সরকার পক্ষ কথা দিয়েছে তাঁরা যে কোনও বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহী। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবি সম্পর্কে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন সব বিষয়েই সরকার আলোচনায় প্রস্তুত। মন্ত্রীর কথায় বিরোধীরা ধরে নিচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতের অশান্ত রাজ্যটির পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে তাঁদের বক্তব্যও জানাবে।
অন্যদিকে, অধিবেশনের প্রথম দিনেই সরকার দিল্লি অর্ডিন্যান্স পেশ করতে চলেছে। বস্তুত এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করা নিয়েই বেঙ্গালুরুর বৈঠকের আগে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে কংগ্রেস ঘোষণা করে তাঁরা সংসদের দুই কক্ষেই ওই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করবে। আম আদমি পার্টিও শেষে বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দেয়। ফলে বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু থেকেই ওই অর্ডিন্যান্স নিয়ে উত্তাল হতে পারে।
ওই অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারের সেক্রেটারিয়েট সার্ভিসের অফিসারদের বদলি, পদোন্নতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেবে। রাজ্য সরকার এমনকী কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে পারবে না। এই অর্ডিন্যান্স আইনে পরিণত হলে দিল্লির রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদের কার্যত অফিসারদের কথায় চলতে হবে। কারণ, অফিসারদের কাজ অপছন্দ হলেও মন্ত্রীদের হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও ক্ষমতা থাকবে না। সব ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের কাছে নালিশ জানাতে হবে। আপ সরকারের মতে, এই অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে দিল্লিতে কার্যত কেন্দ্রীয় শাসন কায়েম হয়েছে।