অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দ্বিতীয়বারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিটকে গেলেন থাইল্যান্ডের বিরোধীদলীয় নেতা


থাইল্যান্ডের বিরোধী আইন প্রণেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত। (ফাইল ছবি)
থাইল্যান্ডের বিরোধী আইন প্রণেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত। (ফাইল ছবি)

থাইল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বিরোধী আইন প্রণেতা পিটা লিমজারোয়েনরাতের মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান করার পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির সংসদ।

বুধবারের ভোটটি ছিল এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার। মে মাসের সংসদ নির্বাচনে বিস্ময়কর বিজয়ের পর পিটার তার মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এবং জোটের দলগুলির পক্ষ থেকে এই পদ প্রত্যাশী ছিলেন। ওই নির্বাচনে গত নয় বছর ধরে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় থাকা সামরিক-সমর্থিত দলগুলির প্রার্থীদের দিক থেকে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নেয়ায়, ৫০০ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে আট দলীয় জোট ৩১২টি আসন পেয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে।

কিন্তু রক্ষণশীল, সামরিক-সমর্থিত সিনেটে শক্তিশালী বিরোধিতার কারণে প্রধানমন্ত্রী পদে জয়ী হওয়ার প্রাথমিক প্রচেষ্টায় পিটার জন্য আরও ৫০টি ভোটের প্রয়োজন ছিল।

থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত পিটাকে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি মামলার শুনানির সময় সংসদ থেকে বরখাস্ত করার রায় দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পর ওই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।

মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির এই নেতার একটি মিডিয়া কোম্পানিতে শেয়ারের মালিক হওয়ার প্রমাণ রয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা দেয়ার এক সপ্তাহ পর সাংবিধানিক আদালত এই রায় দিল। আদালত বলছে, কোনও মিডিয়া কোম্পানিতে শেয়ারের মালিক থাকাটা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করার শামিল, যার ফলে তিনি নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

যদিও তার কোম্পানি আইটিভি, অনেক বছর ধরেই বন্ধ আছে। পিটা যুক্তি দেন, তার শেয়ারের মালিকানার সাথে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করার কোন সম্পর্ক নেই।

অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার করা হলে যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে, এমনকি তাকে কয়েক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।

[ এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে ]

XS
SM
MD
LG