ভারতে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের আইনি ধারার যথেচ্ছ অপপ্রয়োগ করা হতে পারে - বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই একটি মামলায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করল ভারতের উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট । পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যার সময় ‘অস্ত্র’ হিসেবে অকারণে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা প্রয়োগ করতে পারেন কিছু মহিলা, এমনটাই দাবি এই আদালতের।
এদিন একটি মামলার প্রেক্ষিতে এক যুবকের বিরুদ্ধে ওঠা ফৌজদারি ধারায় আইনি প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়ে এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন বিচারক শরদ কুমার শর্মা। উক্ত যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক তরুণী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আটক করেছিল ওই যুবককে।
সেই মামলাতেই এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে উত্তরাখন্ড হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগেও গার্হস্থ্য হিংসা আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহারের ঘটনা শোনা গিয়েছিল। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪৯৮এ ধারায় মিথ্যা মামলায় ফেঁসে জেল খাটতে হয়েছে, ভারতে এমন পুরুষের সংখ্যা কম নয়। সেই নিয়েও দেশের একাধিক আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। তারপর গার্হস্থ্য হিংসা আইনের পুলিশি অগ্রগতি, এবং গ্রেফতারির নিয়মে কিছু বদল আনা হয়েছিল।