হিজাব আইন বলবৎ করতে রাস্তায় নীতি পুলিশ ফিরিয়ে আনাকে সমালোচনা করেছেন ইরানের পার্লামেন্টের এক সদস্য। তিনি একে ভুল পথে চালিত নীতি বলে অভিহিত করেছেন।
রবিবার জামারান সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি কমিশনের সদস্য জলিল রহিমি জাহান আবাদি এই "ক্ষতিকর, অযৌক্তিক ও অপমানকর আচরণ" এড়িয়ে যেতে কর্মকর্তাদের ডাক দিয়েছেন। তার মতে, এর ফলে "সরকার ও জনগণের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।"
তিনি বলেন, নীতি পুলিশের দায়িত্ব নিতে কেউ রাজি নয় এবং এ থেকেই বোঝা যায় যে, এই নীতি প্রকৃতিগতভাবে কতখানি ত্রুটিপূর্ণ।
ইরানের পুলিশ প্রধান গত সপ্তাহে বলেন, নীতি পুলিশের ভাল অভিপ্রায় ও অপরিবর্তনীয় লক্ষ্য রয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে তারা রাস্তায় ফিরে এসেছে।
গত বছর পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কারণে তাদের উপস্থিতি মূলত বন্ধ হয়ে যায়। খুব ঢিলেঢালাভাবে মাথার স্কার্ফ পরার অভিযোগে আমিনীকে নীতি পুলিশ আটক করেছিল।
যদিও রাস্তার বিক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে তবে ইরানের অনেক নারী আমিনির মৃত্যুর পর থেকে প্রকাশ্যে বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরোধিতা করেছেন।
আমিনীর মৃত্যুবার্ষিকী যেহেতু এগিয়ে আসছে, তাই পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার তাঁর গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভিওএ-র এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাধ্যতামূলক হিজাব পুনরায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, “সাম্প্রতিক বিক্ষোভ থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি ইসলামি প্রজাতন্ত্র।”
এপ্রিলে, ইরান তার বাধ্যতামূলক হিজাব আইন কার্যকর করার জন্য একটি নতুন অভ্যন্তরীণ নজরদারি কর্মসূচি চালু করেছে।