উত্তর-পূর্ব ভারতের জনজাতি দাঙ্গায় অগ্নিগর্ভ মণিপুর নিয়ে ভারতের সংসদে চলতি বাদল অধিবেশনে বিবৃতি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে - এমনটাই দাবি বিরোধীদের। অন্যদিকে, কেন্দ্র সরকারের বক্তব্য, মণিপুর নিয়ে তাঁরা আলোচনায় আগ্রহী। তবে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়ার যে শর্ত বিরোধীরা দিয়েছেন তা মানা সম্ভব নয়। দুই পক্ষের এই অনড় অবস্থানে সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দুদিনেই যথেষ্ট সমস্যা হয়। অধিকাংশ সময়টাই মুলতুবি রাখতে হয় অধিবেশন। তার মধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে।
তবে বিজেপি সূত্রের খবর, সরকার একটি মীমাংসা সূত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন সোমবার ২৪ জুলাই রাতে রাতে।
সংবাদ সুত্রের খবর, সোমবার সংসদের অধিবেশন শেষে বিজেপির তিন শীর্ষ নেতা অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং রাজনাথ সিং সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর চেম্বারে ঘন্টাখানেক বৈঠক করেন। সেখানে ঠিক হয়, সংসদে সরকার শুধু মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে রাজি। গত কয়েকদিন ধরে বিজেপি নেতারা রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ছত্রিশগড়ের নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রীও সংসদের বাইরে রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
রাজনাথ সিং কয়েকজন বিরোধী নেতাকে বলেছেন, "এতদিন যে যাই বলে থাক, সরকার শুধু মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি। অন্য রাজ্যের প্রসঙ্গ আনা হবে না। তবে, প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি বিরোধীদের ছাড়তে হবে।"
প্রধানমন্ত্রী মোদীর মণিপুর বিবৃতি না দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের অনড় থাকা বিষয়ে বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, শাসক দল মনে করছে, বিরোধীদের দাবি ভোটের রাজনীতির কৌশল। মাস আটেক পর লোকসভায় ভোট। বিরোধীরা মোদীর বিবৃতিকে হাতিয়ার করতে চায়। এই কারণেই আদানি ইস্যুতেও মোদী সংসদে মুখ খোলেননি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোট ও পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কথা বিবেচনায় রেখে সরকারপক্ষ সংসদে নিজের কথা জানাতে চায়। বিজেপির অঙ্ক, মণিপুর নিয়ে আলোচনা শেষ হলে অন্য রাজ্যের নারী নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলবে বিজেপি শিবির।