উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখনও নীরব। বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই রাজস্থানে গিয়ে তিনি ভোটের প্রচার করলেও মণিপুর নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থান যে কংগ্রেসকে অন্যতম প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে অক্সিজেন জোগাচ্ছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কথাতেই তা স্পষ্ট। এদিন এক ভিডিও বার্তায় রাহুল বলেন, “বিজেপি-আরএসএস স্রেফ ক্ষমতায় টিঁকে থাকার জন্য দেশ জ্বালিয়েও দিতে পারে। ওরা মণিপুরে আগুন লাগাতে পারে, ওরা হরিয়ানায় আগুন লাগাতে পারে, ওরা উত্তর প্রদেশেও আগুন লাগাতে পারে।”
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি হলেন রাহুল গান্ধীর এখন কোনও সাংগঠনিক পদ না থাকলেও রাজনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে কোনও মহলেই প্রশ্ন নেই। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, রাহুল এদিন যে চড়া দাগে বিজেপি ও মোদীর সমালোচনা করেছেন তা কৌশলগত। তিনি যখন অভিযোগ করছেন, বিজেপি-আরএসএস দেশ জ্বালিয়ে দিতে পারে তা শুধু দেশের মানুষের কাছে বার্তা নয়, আন্তর্জাতিক মহলের কাছেও বার্তা। মণিপুরের ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহ বহু দেশ ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। অর্থাৎ মোদী প্রশাসনের প্রতি সামগ্রিক অনাস্থা তৈরির চেষ্টায় সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন রাহুল - এমনটাই ব্যাখ্যা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, এর আগে তিনি যখন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হতেন, তখন দেখা যেত তিনি একাই বলছেন। তাঁর পাশে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি নেই। কিন্তু এখন ২৬টি দল অর্থাৎ বিরোধীদের জোট রাহুলের সঙ্গে সহমত। তাঁরা সমষ্টিগত ভাবে কেন্দ্রের সমালোচনা করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নরেন্দ্র মোদী গত দশ বছরে বিরোধীদের থেকে এহেন চাপে পড়েননি।
বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানের সিকারে ভোটের প্রচার করেছেন। সেখান থেকে তিনি ফের ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, "ইউপিএ দেউলিয়া হয়ে গেছিল। তাই নতুন নাম নিয়েছেন বিরোধীরা। এই জোট দুর্নীতিবাজদের জোট, পরিবারতন্ত্রের জোট।"