মহাসমাবেশে যোগ দিতে, শুক্রবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমবেত হয়। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসতে থাকেন।
কয়েক হাজার নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাতে ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় ভিড় করেন এবং সেখানে রাত কাটান। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনে আসেন। ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও নেতাদের প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।
বিজয়নগর থেকে নয়াপল্টন পর্যন্ত সড়ক ও গলিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।রাজধানী ঢাকার প্রবেশপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশির মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক বিএনপি নেতাকর্মী।
সমাবেশের জন্য বিএনপি নয়টি ট্রাকে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করেছে, লাল গালিচা বিছিয়ে চারদিকে মাইক স্থাপন করেছে। সংস্কৃতি কর্মী ও সাংবাদিকদের জন্য আলাদা দুটি মঞ্চও নির্মাণ করা হয়েছে। রোদে জনসমাগম চাঙ্গা রাখতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য, এক দফা দাবিতে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করছে। বিএনপি ছাড়া, ৩৭টি সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট বিভিন্ন এলাকায় পৃথক সমাবেশের আয়োজন করেছে।
এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে সমাবেশের আয়োজন করেছে।