ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে ২৬টি বিজেপি-বিরোধী দলের জোটের নাম হয়েছে 'ইন্ডিয়া'। সেই জোটের কটাক্ষ করে দু’দিন আগে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, "ইন্ডিয়া নাম রাখলেই কি সব হয়ে গেল! সে তো ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নামেও ইন্ডিয়া রয়েছে, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াতেও দেশের নাম রয়েছে।"
প্রধানমন্ত্রী বিরোধী জোটের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তুলনা টানায় বিরোধী রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। তবে বিরোধীরা বলেছিলেন, "মোদী ভয় পেয়েছেন এতেই বোঝা যাচ্ছে।" আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ইন্ডিয়া নামটি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হয়েছে দেখছি।"
এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমারের কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে বক্তৃতার একাংশ ভাইরাল হয়েছে। কানহাইয়া বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা হল, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন আর পিএফআই-তে ইন্ডিয়া রয়েছে। তার মানে গাধারও চার পা আছে, আর কুকুরেরও চার পা আছে। তাই সব গাধাই কুকুর।”
এই বক্তব্যের একাংশেই কানহাইয়া বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এই যুক্তিই যদি মানতে হয়, তা হলে বলতেই পারি যে প্রধানমন্ত্রীর দু’টি চোখ আছে, গাধারও দু’টি চোখ রয়েছে…।”
কানহাইয়া কুমার এক সময়ে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র নেতা। তার পর কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি। এখন সর্বভারতীয় কংগ্রেস তথা এআইসিসি-র তরফে দলের ছাত্র সংগঠনের পর্যবেক্ষক তিনি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন কানাইয়া কুমার।
কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, এবার লোকসভা ভোটের আগে হিন্দি বলয়ে কানহাইয়া ভোটের প্রচারে ব্যবহার করতে চান রাহুল। এর বড় কারণ, তাঁর বক্তৃতা ক্ষুরধার বলে মনে করেন তিনি। তা ছাড়া লোকসভা ভোটে বিহারে আরজেডি, সংযুক্ত জনতার সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে কানহাইয়াকে কোনও একটি আসন থেকে প্রার্থীও করা হতে পারে, এমনটা মনে করা হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে।