অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক ও নিবেদিতপ্রাণ শ্রমিক অধিকার কর্মী রেহানেহ আনসারি-নেজাদকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে তেহরানের বিপ্লবী আদালত। এরপর, বিপ্লবী আদালতের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরানের দুটি প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন। আনসারি-নেজাদকে "একটি সাংগঠনিক অধিবেশনে অংশ নেয়া" এবং ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠী এবং ফরাসি গুপ্তচর সংস্থার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তি দেয়া হয়।
হাফত তাপেহ চিনিকলের শ্রমিক সিন্ডিকেট এবং তেহরান ও শহরতলির বাস কোম্পানির শ্রমিকদের সিন্ডিকেট, উভয় সংগঠন দৃঢ়ভাবে দাবি করেছে, বৃহস্পতিবারের রায়টি "বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমূলক"। তারা এ বিষয়ে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তাদের অসম্মতির কথা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে হাফত তাপেহ, আনসারি-নেজাদসহ সকল শ্রমিক ও শ্রমিক অধিকার কর্মীদের লক্ষ্য করে সব ধরনের বিচারবিভাগীয় বানোয়াট পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে “বানোয়াট চক্রান্ত” বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
তেহরান ও শহরতলির বাস কোম্পানির শ্রমিক সিন্ডিকেটও আনসারি-নেজাদের রায়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই রায় "গোয়েন্দা মন্ত্রকের নিয়মিত পদ্ধতির’ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এমন কি, তাদের প্রচলিত পদ্ধতিও এতে অনুসরণ করা হয়নি বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যম এমতেদাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আনসারি-নেজাদের আইনজীবী রাজিয়ে জেয়াদি বলেন, চার বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার মক্কেলকে রাজনৈতিক দলের সদস্যপদে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়া কার্যক্রমে জড়িত থাকার বিষয়ে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং আরো দুই বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
আটক শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবির পরিবারের সাথে দেখা করার সময়, মে মাসে আনসারি-নেজাদ এবং আরো কয়েকজন শ্রমিক অধিকার কর্মী ও নাগরিক অধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।