বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আরেকটি স্পিন (ক্রিকেটে), গত ২৮ ও ২৯ জুলাই বিএনপির গুগলিতে আওয়ামী লীগ পুরোপুরি নিঃশেষ হয়ে গেছে।” তিনি বলেন, “বৃষ্টি ও প্রচণ্ড তাপ সহ্য করে, নসারা দেশ থেকে রাজধানীতে মানুষ এসেছে। সেই মহাসমাবেশে জনতা শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার বার্তা দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “সমাবেশের পরদিন (২৯ জুলাই) হরতাল বা অবরোধের পরিবর্তে রাজধানীর প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি দেয়া হয়েছিলো। সে সময় অস্ত্র ও সাঁজোয়া যানে সজ্জিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান নেয়।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো, পুলিশ বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমানকে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। পরে, তারা স্ক্রিপ্ট প্রস্তুত করে, গল্প রচনা করে ও ভিডিও তৈরি করে। এমনই অপহরণকারী এই সরকার।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক নেই, তারাই এ ধরনের অপহরণ ও কাল্পনিক গল্পের আশ্রয় নেয়। মানুষ তাদের গল্প গ্রহণ করেনি। আমাদের নেতা গয়েশ্বর রায় ও আমানউল্লাহ আমানকে সেই গল্প হেয় করতে পারেনি। বরং, আপনারা যারা এই ধরনের নাটক তৈরি করেছেন, তারা লজ্জিত হয়েছেন।”
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা ও তার সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন চাই না। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। আমাদের দাবি সোজাসুজি মানা না হলে, রাজপথে ফায়সালা করা হবে। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি এবং আমাদের জয় নিশ্চিত।”
যে কোনো মূল্যে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায় বিএনপি:ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, “তাদের (বিএনপির) উদ্দেশ্য তারা একটি লাশ ফেলবে। পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশ তো বাধা দেবেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের রাস্তা বন্ধ করে দিলে, পুলিশ চোখ বন্ধ করে রাখবে? জনগণের জানমাল রক্ষা করার দায়িত্ব পুলিশের।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা (বিএনপি) যে কোনো মূল্যে, যে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায়। এটি তাদের টার্গেট। আমাদের তো সেই টার্গেট নেই। আমরা সরকারি দল। আমরা কোনো উত্তেজনায় যাবো না। আমরা নির্বাচন চাই। নির্বাচনে জনগণ চাইলে আমরা আবারো থাকব, না চাইলে থাকব না।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “সরকারের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা। নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা।”