গত রবিবার ৩০ জুলাই এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব বলেছেন, “লোকসভা ভোটের পর মোদীই পালানোর কথা ভাবছেন। এই কারণেই উনি এত দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আসলে মোদী খুঁজে দেখতে চাইছেন, কোথায় গিয়ে আরামে থাকা যাবে। কোথায় গেলে পায়ের উপর পা তুলে মোমো, পিৎজা, চাউমিন খাওয়া যাবে।”
বিরোধী জোটের অন্যতম শরিক দল লালু প্রসাদের আরজেডি। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে চার্জশিট পেশ করে রেখেছে ইডি। শুধু তাই নয়, লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে সেই দুর্নীতির অভিযোগ রাজনৈতিক ভাবে হাতিয়ার করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্র নিয়ে বার বার সমালোচনা করছেন তাঁদের।
এহেন পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর ছেলেও পাল্টা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। বিহারে এবার ২০১৫ সালের মতই সমীকরণ তৈরি হয়েছে। ওই ভোটে লালু-নীতীশ ও কংগ্রেসের জোট হয়েছিল। সেই জোটের সমীকরণ এতটাই মজবুত ছিল যে তাঁরা দুই তৃতীয়াংশ আসন জিতে নিয়েছিল। বিহার থেকে লোকসভায় বিজেপির ভালো সংখ্যায় আসন ছিল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি শিবিরে উদ্বেগ হল, লালু-নীতীশের জোটের পরিস্থিতিতে বিজেপি বিহারে প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হতে পারে। শুধু বিহার নয়, এর আঁচ পড়তে পারে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও।