মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওয়ুন-এরডেন লুভসানামসরাই এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাটসেগ বাতমুনখ মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে পৌঁছে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ সপ্তাহে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
হ্যারিসের প্রেস সেক্রেটারি কার্স্টেন অ্যালেন এক বার্তায় বলেন, " (ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস) ২ আগস্ট মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওয়ুন-এরডেনকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছেন। এই সফর যুক্তরাষ্ট্র-মঙ্গোলিয়ার কৌশলগত অংশীদারিত্বের শক্তি এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গভীর করতে আমাদের চলমান কাজকে তুলে ধরবে।“
২০১৮ সালের পর এটিই প্রথম কোনো মঙ্গোলিয়ান প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফর।
এই সফর এমন সময় এলো যখন দেশ দুটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও মঙ্গোলিয়ার দুর্ল্ভ খনিজ পদার্থের সঞ্চয় নিয়ে সহযোগিতা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। উল্লেখ্য, এসব খনিজ উচ্চ-প্রযুক্তির উপকরণ ও টেকসই জ্বালানি পণ্য, যেমন ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক পরিবহন নির্মাণের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও মঙ্গোলিয়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহ চেইন শক্তিশালী করতে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে।
মঙ্গোলিয়া বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খনিজ পদার্থের জোগানদাতা। তাদের রয়েছে ৮০টি বৈচিত্র্যময় খনিজের সমাহার, যার মধ্যে আছে ভূগর্ভস্থ দুর্লভ উপকরণ, তামা, ফ্লোরাইট, স্বর্ণ, লৌহ ও দস্তা।পৃথিবীর মোট ভূগর্ভস্থ দুর্লভ খনিজের ১৬ শতাংশই মঙ্গোলিয়ায় রয়েছে।