অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ


বেইজিং-এ চীনা জাতীয় পতাকার পেছনে একটি নজরদারি ক্যামেরা দেখা যাচ্ছে। ৩ নভেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্র চীন সরকারের একটি উদ্যোগ যেটি তার নাগরিকদেরকে পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তিমূলক কার্যকলাপে অংশ নিতে উৎসাহিত করে, সেটি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, নাগরিকদের গুপ্তচরবৃত্তি করতে উৎসাহিত করা “বড় উদ্বেগের বিষয়।”

এই সপ্তাহে চীনের বিদেশী গোয়েন্দা ও গুপ্তচরবৃত্তির তত্ত্বাবধানকারী প্রধান সংস্থা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রক চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটে একটি বার্তা পোস্ট করে বলেছে, পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তি আইনের কার্যকর প্রয়োগ শুধুমাত্র চীনের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কাজ নয়, বরং এটিতে “জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ” প্রয়োজন।

এমএসএস-এর সর্বসাম্প্রতিক পদক্ষেপটি চীনের পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তি আইনের একটি সম্প্রসারণ। আইনটি ১ জুলাই কার্যকর করা হয়েছিল।

বেইজিং সরকার এই বছরের শুরুতে তার গুপ্তচরবৃত্তি বিরোধী আইন আপডেট করেছে, এর অধীনে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য আদান-প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে আইনটি চীনের জাতীয় নিরাপত্তা বা স্বার্থকে নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করে না।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি কংগ্রেশনাল প্যানেল বলেছে, এটি বাণিজ্য এবং পররাষ্ট্র বিভাগের মধ্যে সাম্প্রতিক ইমেল সিস্টেম হ্যাকিং-এ চীনের কথিত জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্ত শুরু করছে।

হ্যাকাররা যারা সম্ভবত চীনের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত তাদেরকে একটি মাসব্যাপী প্রচারণার জন্য দায়ী করা হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কিছু আন-ক্লাসিফায়েড ইমেইল সিস্টেম লঙ্ঘন করেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র এবং বাণিজ্য বিভাগ ও মুষ্টিমেয় অন্যান্য সংস্থায় অল্প সংখ্যক অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়।

বেইজিং-এর কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG