অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের আটক করা বন্ধ করতে হরমুজ প্রণালীতে বাণিজ্যিক জাহাজকে অস্ত্র সজ্জিত করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র


আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছে ওয়াস্প-শ্রেণীর উভচর হামলা করতে সক্ষম জাহাজ ইউএসএস বাটান; ২০ জুলাই ২০২৩।
আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্য দিয়ে যাত্রা করেছে ওয়াস্প-শ্রেণীর উভচর হামলা করতে সক্ষম জাহাজ ইউএসএস বাটান; ২০ জুলাই ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী হরমুজ প্রণালী দিয়ে চলাচল করা বানিজ্যিক জাহাজে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োগের কথা বিবেচনা করছে। বেসামরিক জাহাজ আটক করা ও হয়রানি করা থেকে ইরানকে বিরত রাখার লক্ষ্যে এটি একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ হবে। বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এ কথা বলেছেন আমেরিকার চারজন কর্মকর্তা।

যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত "ট্যাঙ্কার যুদ্ধ"-এর সময়ও এমন পদক্ষেপ নেয়নি। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ও ইরানের মধ্যে একদিনের নৌ যুদ্ধ হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের, এটা ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় লড়াই।

কর্মকর্তারা পরিকল্পনার কিছু বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। এই পরিকল্পনা তখন সামনে এলো, যখন উভচর হামলায় সক্ষম জাহাজ ইউএসএস বাটান ও অবতরণজাহাজ ইউএসএস কার্টার- ্রেএ করে হাজার হাজার মেরিন সদস্য ও নাবিক পারস্য উপসাগরে পথে রওয়ানা হয়েছে। প্রণালীতে যে-কোন সশস্ত্র রক্ষী মিশনে এই মেরিন সদস্য ও নাবিকরা প্রধান সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে। এই প্রণালীর মধ্য দিয়ে বিশ্বের মোট তেলের ২০ শতাংশ চলাচল করে।

জাতিসংঘে ইরানের মিশন তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এপি-র অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

প্রস্তাবটি নিয়ে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তা আলোচনা করেছেন, তারা এর বিস্তারিত বিবরণের বিষয়বস্তু স্বীকার করেছেন । কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে , কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তা ও উপসাগরীয় আরব মিত্রদের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

কর্মকর্তারা বলেছেন যে, মেরিনসদস্য ও নৌবাহিনীর নাবিকরা কেবল সংশ্লিষ্ট

জাহাজের অনুরোধেই নিরাপত্তা দেবেন।

বাটান ও কার্টার হল ১০ জুলাই ভার্জিনিয়ার নরফোক ছেড়ে একটি অভিযানে গেছে। পেন্টাগন এই মিশনকে হরমুজ প্রণালী ও েএর আশেপাশের জলসীমায় বাণিজ্যের বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহকে হুমকি প্রদানে ইরানের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছে। বাটান মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পথে গত সপ্তাহে জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে।

সমুদ্রে ইরানের পদক্ষেপের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই এ-১০ থান্ডারবোল্ট-টু যুদ্ধবিমান, এফ-১৬ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, সেই সাথে ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস টমাস হাডনারকে ঐ অঞ্চলে পাঠিয়েছে।

XS
SM
MD
LG